ভাষা আন্দোলনে পাবনা : কিছু স্মৃতি । রণেশ মৈত্র

  
    

পাবনাতে ভাষা আন্দোলন ১৯৪৮ ও ১৯৫২ তেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তা বিস্তৃত হয়েছিল ১৯৫৩ সালের ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। একটি আজ থেকে ৭৪ বছর, আগের কথা। তাই অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণেই ঘটনাসমূহের খুঁটিনাটি ও ভাষা সৈনিকদের অনেকের নাম বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। স্বয়ং একজন ভাষা আন্দোলনের সংগঠক ও অংশগ্রহণকারী হওয়াতে স্মৃতিতে যতটুকু আনতে পারছি, যতটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছি, যতটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছে-ততটুকুই এই নিবন্ধের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে উদ্যোগী হয়েছি।
১৯৪৮ সালের ২৫ আগষ্ট পাকিস্তান গণপরিষদের করাচী অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ইংরেজী ও ঊর্দুর সাথে বাংলাকে ও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের সপক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যাই বেশী এবং তারা সবাই বাঙালি। সেহেতু অবশ্যই বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ওেয়া উচিত।

ধীরেন দত্তের এই প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, খাজা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ মুসলিম লীগ নেতা সকল সংসদীয় শালিনতা পরিহার করে গর্জে উঠে বলেন, বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হতে পারে না-কারণ বাংলা হিন্দুর ভাষা, ভারতের ভাষা, মুসলমান ও পাকিস্তানের ভাষা নয়। তাঁরা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রস্তাব উত্থাপনকারী ধীরেন দত্তকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করে তাঁকে “ভারতের দালাল”, “পাকিস্তানের দুশমন বলে আখ্যায়িত করেন।
রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে ধীরেন দত্ত ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। প্রত্যাবর্তনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বামপন্থী ছাত্র নেতারা উদ্যোগী হয়ে বিপুল সংখ্যক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে পূর্ব বাংলার প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে বিপুলভাবে সম্বর্ধিত করেন। বস্তুত: এখান থেকেই ঢাকার মাটিতে প্রথম রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ঘোষণা করা হয়, পাবনা ১১ মার্চ সমগ্র প্রদেশব্যাপী রাষ্ট্রভাষা দিবস পালনের প্রথম কর্মসূচী।

পাবনাতে ১১ মার্চ ঘিরে যেমন ব্যাপক উত্তেজনা-তেমনই ব্যাপক প্রস্তুতি। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রস্তুতির ব্যাপকতায় উৎকণ্ঠিত হয়ে আন্দোলনের সংগঠকদের সাথে সাথে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন। এর কারণ ছাত্র-ফেডারেশন (ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন) মুসলিম ছাত্র লীগ, ছাত্র কংগ্রেস, মুসলিম লীগের আবুল হালিম গ্রুপের একাংশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাবনাতে ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন-সঙ্গে তমুদ্দুন মজলিশও।
প্রশাসন জানায়, মিছিল-হরতাল করলে ১৪৪ ধারা জারী করা হবে। ফলে আলোচনা ব্যর্থ হলো। নেতৃবৃন্দ জানিয়ে এলেন তাঁরা হরতাল মিছিল করবেনই।
১১ মার্চ সকাল হতেই জারী হলো ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে হরতাল ধর্মঘটে ব্যাপকভাবে মানুষের সাড়া পাওয়া গেল স্বত:স্ফূর্তভাবে। ঢাকা থেকে পালিয়ে ভাষা মতিন পাবনা এসে সব কিছু সংগঠিত করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দেন। মিছিলেও অংশ নেন। শহরের ইন্দারাপট্টিতে পুলিশ ব্যারিকেড। মিছিল কারীরা সকলেই রাজপথে বসে পড়লেন। উচ্চকিত শ্লোগান তাঁদের মুখে উচ্চারিত হতে থাকলো। পুলিশেল পাঁয়তারা ভাষা মতিনকে গ্রেফতারের। তিনি ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকলেন এবং এক পর্যায়ে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য মিছিল থেকে টুক করে বেরিয়ে ভিন্ন পথে ঢাকা চলে গেলেন।

মিছিল অগ্রসর হতে থাকলো। বানী সিনেমার কাছে যেতেই আমিনুল ইসলাম বাদশা। আমজাদ হোসেন, লুৎফর রহমান রওশন জান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান খান, সেলিম বানু, প্রসাদ রায় প্রমুখকে গ্রেফতার করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই অবশ্য সকলকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু মুক্তির দিন কয়েকের মধ্যেই আমিনুল ইসলাম বাদশাকে পুনরায় গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশব্যাপী ধরপাকড়ের অংশ হিসেবে। একটানা সাড়ে চার বছর বিনাবিচারে আটক থাকার পর ১৯৫৩ সালে তিনি মুক্তি পান। ব্যাপক জন অংশগ্রহণের ফলে সমগ্র প্রদেশের মধ্যে পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলায় (ঢাকার পর) ভাষা আন্দোলন অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে।
অত:পর প্রতিবছর ১১ মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রচারপত্র বিলি করা হলো।

ইতোমধ্যে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বৈঠকে গোপন কমিউনিষ্ট পার্টির মোহাম্মদ তোয়াহা বলেন, সবই ঠিক আছে তবে সরকার যদি ১৪৪ ধারা জারী করে তবে তা ভেঙ্গে মিছিল বের করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কারণ আসন্ন নির্বাচনে সকলকে কারাগারে আটকে রাখার একটা অজুহাত পেয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর স্থির হয় যে একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলীয় সাধারণ ছাত্রদের একটি বড় আকারের সভা ডাকা হোক এবং সেখানে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গা বা না ভাঙ্গার পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশীর ভাগ যে মতদেবেন সে অনুযায়ী অগ্রসর হতে হবে।

এসে গেল একুশে ফেব্রুয়ারি। গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভার কাজ শুরু হলে ুইটি অভিমতই ব্যানার সহ নেতারা তাঁরে বক্তৃতায় পেশ করলে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গেই মিছিল করার সপক্ষে সর্বসম্মত অভিমত প্রকাশ পায়।
ইতোমধ্যে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারী করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটাটি সশস্ত্র পুলিশ ব্যারিকেড করে রাখে। সিদ্ধান্ত হলো ১০ জন ১০ জন করে এক একটি লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃংখল মিছিলটি বের হবে। সম্মুখভাবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। মিছিল বের হতেই পুলিশ বাধা দিলে বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি সংসদ অভিমুখে অগ্রসর হলো।
মিছিলটি মেডিক্যাল কলেজের কাছে পৌঁছালে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। শহীদ হন বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিকুর রহমান সহ নাম না জানা অনেকের। খবর পেয়ে সংসদে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়-বিরোধী কংগ্রেস দলীয় সদস্যরা সংসদ অধিবেশন মুলতুবি করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তার প্রতি অনেকেরই সমর্থন থাকা সত্বেও সে প্রস্তাব বাতিল করা হয়। প্রতিবাদে মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ বেরিয়ে আসেন।

যা হোক, ঢাকায় গুলি চালানোর খবর মুহূর্তে দিক বিদিকে গুজব আকারে খবরটি পেলাম। সন্ধ্যায় আকাশ বানী থেকে খবরটি বিস্তারিত জেনে আমরা ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে টিনের চোঙা ফুঁকে ২২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ও গণমিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা দিলাম। পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়ে এক মোড় পার হওয়ার পর আর এক মোড়। এভাবে দৌড়াতে হলেও প্রচারটা দ্রুতই সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লো।

এবারে পাবনার বাহান্ন সালের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় তৎকালীন পাবনার ছাত্রলীগ নেতা আবুল মমিন তালুকদারের নাম। এ ছাড়াও নানাভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন অংশ গ্রহণ করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের রণেশ শৈত্র, আবদুল মতিন, কামাল লোহানী, নূরুদ্দিন আহমেদ, শাজাহান মাহমুদ, খালিদ হাসান, পরেশ দে, ছাত্র লীগের গোলাম হাসমায়েন, আজহার আলী পেয়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ ল-নে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানের অংশীভূত করার আন্দোলনের অন্যতম নেতা। সৈয়দ রেজা কাদের, আলতাফ হোসেন, আজিজুল হক মাহমুদ আলম খান।
যা হোক, ভীতি, আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে অত্যন্ত সাহসের সাথে পাবনার সকল স্তরের মানুষ ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ দিবস বা দিনরাত হরতাল পালন করেন এবং দলে দলে মিছিলে ছাত্রদের সাথে অংশগ্রহণ করে অপূর্ব সংহতি প্রকাশ করেন। মিছিলে শ্লোগানের গর্জনে রাজপথ প্রকম্পিত হতে থাকে।
এবারও পুলিশ ব্যারিকেড দিলে মূল শহরের টাউন হলের (সদ্য অবলুপ্ত) কাছাকাছি এলেই। সে ব্যারিকেডও ভেঙ্গে মিছিল অগ্রসর হলো এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কিছু আগে (প্রধান ডাকঘরের কাছাকাছি) এসে।
রাতে অনেক ধর পাকড় হয়। বাড়ি বাড়ি পুলিশ গিয়ে খুঁজতে থাকতে থাকে তাদের তালিকাভূক্ত নেতা কর্মীদেরকে। সারা পূর্ব বাংলা ব্যাপী ঐ ধরপাকড়ের শিকার হন অধ্যাপক অজিত গুহ সহ ভাষা আন্দোলনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। পাবনাও কোন ব্যতিক্রম হয় নি। রাতে আমার বাসাতেও পুলিশ এসেছিল কিন্তু আমি রাতটা অন্যত্র থাকাতে পুলিশ ধরতে পারেনি।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতা জয়নুল আবেদিন ঐদিন তাঁর গ্রাম থেকে কিছু কেনাকাটার জন্যে শহরে এসেই দেখেন মিছিল। তাকে দেখে মিছিলে শ্লোগানধারী নেতাদের একজন মিছিলে যোগ দিতে ডাকলে তিনি ঢুকে পড়েন মিছিলে-সাইকেলটা অন্যত্র রেখে অপর ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আনোয়ারুল হক রাধানগর মজুমদার একাডেমীতে পড়তেন। তিনিও ঐ স্কুলের ছাত্রদের সাথে মিছিলে যোগ দেন। এভাবেই শেষ হয় পাবনার ভাষা আন্দোলন ২২ ফেব্রুয়ারিতে।
এবারে ৫৩ সাল ১৫ মার্চ বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পর মুসলিম লীগ দীর্ঘদিন পূর্ব বাংলার কোথাও কোন কর্মীসভা, জনসভা, সম্মেলন করতে সাহস করেনি। কিন্তু নির্বাচন কাছাকাছি এসে পাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে তারা পাবনাতে মুসলিম লীগের প্রাদেশিক কাউন্সিল ও বিশাল আকারের জনসভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়। তাদের প্রচারে জানা গেল ভাষা আন্দোলনের খুনী নূরুল আমিনও তাদের কেন্দ্রীয় নেতা খান আবদুল কাইউস খান, সরদার আবদুর রব নিশতার প্রমুখের সাথে ঐ সম্মেলন ও জন সভায় যোগ দেবেন।

এই খবর জানা মাত্র ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ নেতারা এক জরুরী গোপন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন, যে করেই হোক নূরুল আমীনকে পাবনা আসতে দেওয়া হবে না। এ কথা প্রচার হয়ে যাওয়ায় অন্য নেতাদের সাথে না। এ কথা প্রচার হয়ে যাওয়ায় অন্য নেতাদের সাথে না এসে সীপ্লেন যোগে নূরুল আমিন এসে পাবনার বাজিতপুর ঘাটে নেমে সার্কিট হাউসে চলে যান। ফলে তাঁর আসা প্রতিরোধ করা গেল না। কিন্তু সম্মেলন স্থলে গিয়ে মিছিল সহকারে গিয়ে নূরুল আমীনকে কোন বক্তৃতা করতে না দেওয়ার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত হলে সেই অনুযায়ী মিছিল করে সম্মেলন স্থলে যাওয়ার স্থির হয়।

যথারীতি আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে বিশাল ছাত্র সমাবেশ হলো। যোগ দিলেন বিড়ি শ্রমিকরাও। মিছিল সুশৃংখলভাবে বাংলাভাষার সমর্থনেও খুনী নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে শ্লোগান সহ অগ্রসর হতে থাকলে মাঝপথে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা মিছিলটিকে আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে। ৫/৬ জন নেতা আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে মিছিলটি পুন:সংগঠিত হয়ে ক্রুদ্ধ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকে পড়ে সুদৃশ্য তোরণ, বেঞ্চি প্রভৃতি ভেঙ্গে ফেলে মঞ্চে নেতাদের প্রতি ঢিল ছুঁড়তে থাকলে নেতারা কেউই বক্তৃতা করতে না পেরে পুলিশ প্রহরায় সার্কিট হাউসে গিয়ে আশ্রয় নেন। পণ্ড হয়ে যায় মুসলিম বিশাল আয়োজন। এভাবেই খুনী নূরুল আমীন সহ রাষ্ট্রভাষা বাংলার বিরোধিতাকারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে পাবনাবাসী নতুন ইতিহাস রচনা করে।

রণেশ মৈত্র
সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত
সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।
পাবনা, বাংলাদেশ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments