মিতা চৌধুরী, মেলবোর্ন থেকে: কোভিড -১৯ এর দ্বিতীয় পর্যায়ের তাণ্ডব যেনো কমছেই না অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। গতকাল ২৪ ঘন্টায় ২৫ জন এই মহামারীতে মারা গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে একদিনে এটি সর্বোচ্চ মৃতের রেকর্ড। পুরো দেশে এ পর্যন্ত ৪২১ জন মারা গেলেন। করোনায় দ্বিতীয় পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ায় ৩২০ জনের প্রাণহানী হলো।
গত ২ অগাস্ট থেকে ভিক্টোরিয়াকে দুর্যোগ কবলিত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় রাজ্য সরকার, সেইদিন থেকেই ভিক্টোরিয়াতে এই শতাব্দীতে এসেও জারী করা হয় কারফিউ, যা নজিরবিহীন অভিজ্ঞতা ভিক্টোরিয়াবাসীর ! গত ৪ আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭২৫ জনে যা একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। তারপর গত ৫ আগস্ট থেকে জারী করা হয় চতুর্থ মাত্রার কঠোর নিষেধাজ্ঞা। সকলের প্রত্যাশা ছিলো, এই কঠোর বিধিনিষেধের ফলে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসবে। অবশেষে গত ১২ আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে লক্ষ্য করা যায়, ওই দিনে ২৭৮ জন নতুন আক্রান্ত রোগী লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিম্নমুখী ভাব অব্যাহত থাকলেও থামছে না মৃত্যুর মিছিল।

আজ ১৭ আগস্টে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেছেন, যা এই কোভিড-১৯ মহামারীতে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত সংখ্যা। উল্লেখ্য, এই ২৫ জন মৃতের ২২জনই এজ্ড কেয়ারের বাসিন্দা। আজকের এই মৃত ব্যক্তিদের একজন ৬০বছর বয়সী, ৪ জন মহিলা ও ৩জন পুরুষ তাদের ৭০এর বয়সী, ৬জন মহিলা ও ৪জন পুরুষ তাদের ৮০এর বয়সী এবং ৪জন মহিলা ও ৩জন পুরুষ তাদের ৯০এর বয়স সীমার মধ্যে ছিল। এর আগের সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড হয় গত বুধবার, যা ছিল ২১জন। যদিও দৈনিক আক্ৰান্ত রোগীর সংখ্যা একসপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী আছে তারপরও ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যান এন্ড্রুস বলেন, “সামনের দিনগুলি আরো কঠিন সময় আসছে ভিক্টোরিয়াবাসীর জন্য”। তিনি সকল ভিক্টোরিয়া বাসীকে কোভিড টেস্ট করতে আহ্বান জানান এবং তা যদি অতি স্বল্পমাত্রার লক্ষনও হয়।