মাতাল শিশু ( ষষ্ঠ পর্ব)- মোয়াজ্জেম আজিম/ ধারাবাহিক উপন্যাস

  
    

          মাতাল শিশু

          মোয়াজ্জেম আজিম

ষষ্ঠ পর্ব: 
আকাশে মেঘ নাই। শহরের পাছা দিয়া নির্গত কালো ধোঁয়া আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের গা থেকেই অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে। সবারই মাথার ঘাম নাক বেয়ে, থুতনি বেয়ে টপটপ করে পড়ছে পোঁটকা মাছের মতো ফোলানো ভুঁড়িটার উপর। তাতে গায়ের সার্ট আর গেঞ্জি ভিজে লেগে গেছে ভুঁড়ির সাথে আঠার মতো। এই ভিজা জুবুথুবু অবস্থা থেকে পালাতে সবাই দৌড়াচ্ছে ইঁদুর দৌড়। কিন্তু খুব বেশীদূর আগানোর আগেই আটকা পড়ে যাচ্ছে মানবজটে। ইদানীং সরকার খুশি হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়ার ফলে যানজট কমেছে, মানবজট বেড়েছে। পল্টনের এই মোড়টাকে এখন মনে হচ্ছে হাশরের মাট। ঘামের বন্যায় ডুবে যাচ্ছে সমস্ত বাটকু মানুষগুলো, আর লম্বা মানুষগুলো এই ঘামের সমুদ্র থেকে বাঁচার আশায় নিজের গলা লম্বা করতে করতে জিরাফ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ নোনা পানি তো বেড়েই যাচ্ছে দিন-কি-দিন। এরই মধ্যে আমরা যাচ্ছি ডাক্তারের কাছে। আজ আমার রেগুলার চেকআপ অ্যাপয়েনমেন্ট। প্রত্যেক মাসে আমাকে দুবার করে ডাকাতের কাছে যেতে হয়। ডাক্তার আর ডাকাত যেমন বানানে যথেষ্ট মিল, তেমনি মিল তাদের কাজকর্মেও। জান বাঁচানোর আশায় ডাকাতকে মানুষ সব কিছু তুলে দেয়, তো ডাক্তারকে তো আমার মা সবই তুলে দিচ্ছে আমাকে বাঁচানোর আশায়। মার সবকিছু শেষ করে ডাক্তার এখন নতুন বুদ্ধি বাইর করছে টাকা কামানোর। এখন সে মা আর খবিশকে পরামর্শ দিয়েছে কোন এক ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে। তারা আমার উপর নানারকম ওষুধের পরীক্ষা চালাবে। এই মুহূর্তে বাজারে আমার জন্যে কোনো রেডি ওষুধ নাই। কাজেই আমাদের কোনো অপশনও নাই। যদিও অপশন আছে-কি-নাই তার পরামর্শও ডাক্তারদের কাছ থেকেই আসে, সেহেতু তাদের কথাই ফাইনাল। মাকে বুঝিয়েছে এতে কোনো ক্ষতি হবে না। যদি হয় লাভ হতে পারে, তবে নাও হতে পারে। এই ব্যাপারে গ্যারান্টি দিতে পারছে না। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্যে। তা না হলে তো সবাইকেই মরতে হবে। রোগটা যেহেতু নতুন, এর আগে এই রোগ দেখা গেলেও এমন ম্যাচিউর আকারে দেখা যায়নি। কাজেই একটু যদি আপনার শিশুর রিস্ক থেকেও থাকে তাও আমি বলবো মানব জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনার মতো সচেতন মহিলার এগিয়ে আসা উচিৎ। উনার এই ধান্ধাবাজি পটানো মার্কা কথার মুখে মা আর ‘না’ বলতে পারলো না। কাজেই আমি এখন উনার গবেষণার গিনিপিগ। খবিশ খুব খুশি, চিকিৎসার টাকাতো লাগবেই না, উল্টা আরো টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কী মজা! ডাক্তার বলেছে সব ধরনের এক্সপেরিমেন্টে রাজি থাকলে অনেক টাকাই দেবে। মা এখনও গররাজি। তবে রাজি না হয়ে উপায় নাই। যাবে কোথায়? আমার এই ঘোড়ারোগ সামলানোর ক্ষমতা তো আর মার নাই! কাজেই নিজেকে গিনিপিগ করে হলেও শেষ চেষ্টা করতে হবে। যতদিন দমটা চালু রাখা যায়। মোটামুটি সবাই জানে এইভাবে শেষ রক্ষা হবে না। তবু কেউ এক মিনিট বাঁচার সুযোগও হাতছাড়া করবে না। পৃথিবীর এক মুহূর্তের দূষিত বাতাসও যেন বেহেস্তের অবিরাম বহমান নির্মল বায়ুর তুলনায় হাজার গুণ ভালো। আসলে মানুষ বিশ্বাস করে না বেহেস্তের নির্মল বাতাস, সুরার নহর, পরীদের নৃত্য, হুরদের অনন্ত যৌবন, গেলমানের তুলতুলে মসৃণ শরীর, আর যৌনশক্তি বাড়ানোর সমুদয় রাজকীয় খানাপিনা! কিছুই মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে না! পারবে কেমনে, বিশ্বাস করলে তো! যদি করতো তাহলে এই শহরে যেখানে দোযখের সমস্ত বর্ণনা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় সেখানে কেউ নাক জাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যে এমন গদলঘর্ম হয়? হওয়া সম্ভব? কেউ বিশ্বাস করে না ধর্মকথা। এমনকি যারা চুলদাড়ি বড় করে গায়ে লম্বা কুর্তা জড়িয়ে মদিনার সুরমা আর আতরের সুবাস ছড়িয়ে পাঁচবেলা মসজিদে ইটের জমিন ক্ষয় করে ফেলছে, তারাও না। মানুষ যেন তার পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝে নিয়েছে যে আসলে ইহকালই সব, পরকাল বলে কিচ্ছু নাই। যা কিছু সত্য তা এখানেই, তারপর শুধুই অন্ধকার, শুধুই শূন্যতা। এই মানবজীবনে সে একবারই পেয়েছে, আর পাবে না। তাই যত কষ্টই হোক, নসীবে যা-ই থাকে, তা সম্পূর্ণ না দেখে কেউ মরতে রাজি না।
প্রত্যেকবার ডাক্তারের চেম্বারে এসে আমরা লাইনে বসে থাকি ঘণ্টাতিনেক। লাইনে বসে থাকতে আমার ভালোই লাগে। মানুষ দেখি বসে বসে। মা খুব অস্তির হয়। আমি জানি যদি মার অনেক টাকা থাকতো তাহলে কিছু টাকা গেটের মহিলাকে ধরিয়ে দিয়ে আমার নামটা এগিয়ে আনতো। কিন্তু মার তো টাকাপয়সার খুবই টানাটানি। অবশ্য যারা এই কাজ করে তাদের চোখমুখ সবসময় চকচক করে। ওরা এখানে একশো টাকা দিয়ে যে সময় বাঁচায় তা বাইরে গিয়ে বিক্রি করে হাজার টাকা কামাবে। আমার মার তো আর সেই সুযোগ নাই, তাই সময় বাঁচানোর ধান্দাও নাই। বসে আছি তো বসেই আছি, আর মজা দেখি মানুষের মুখে মুখে।

  • অলংকরণ: আসমা সুলতানা মিতা

শেষ পর্যন্ত আমাদের ডাক আসে। ডাক্তার তালুকদার সাহেব খুব ভালো। উনি আমাদের প্রচুর সময় দেন। মার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আমাকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। সময় থাকলে গল্পও করেন। মার নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। ব্যাখ্যা করেন রোগ ও রোগীর সার্বিক অবস্থা। মা তো একই প্রশ্ন করেন প্রায় প্রতিদিন। কেন হলো আমার ছেলের এই রোগ? এই রোগ কী সারানোর কোনোই উপায় নাই? ডাক্তার মার দিকে কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে থেকে মুখে একটা বিজ্ঞের হাসি এনে শুরু করেন।
-শোনেন, আপনার ছেলে আমার চিন্তারাজ্যে একটা বিরাট অংশ জুড়ে বসবাস করতেছে আজ বহুদিন। আমি নিজে এই লাইনে রিসার্সে আগ্রহী হয়ে উঠেছি। রিসেন্টলি আমার বেশ কয়েকজন ছাত্রও যোগ দিয়েছে এই রিসার্সে। আপনার ছেলের এই সমস্যা নিয়ে আমি বহু চিন্তা করেছি, কোন ক‚লকিনারা করতে পারতেছি না। ইদানীং আমার মনে একটা বিষয় খুব ঘুরপাক খাচ্ছে। এই যে আপনার ছেলের এই রোগ। এটা কি শুধুই একটা রোগ, না অন্যকিছ্রু আলামত। আমার তো মনে হয় এই রোগ দুনিয়া ধ্বংসের আলামত। আমার মনে হয় এই রোগে আমারা সবাই আক্রান্ত। তবে একেকজনের সিন্ড্রোম একেকরকম। আপনার ছেলে শরীরে বাড়তেছে, আমি মনে বাড়তেছি, কেউ জ্ঞানে বাড়তেছে, কেউ ধনে বাড়তেছে, কেউ জনে বাড়তেছে, কেউ প্রেমে বাড়তেছে, কেউ গানে বাড়তেছে, কেউ বেচায় বাড়তেছে, কেউ কেনায় বাড়তেছে. কেউ গুণে বাড়তেছে, কেউ রূপে বাড়তেছে, কেউ পাগলামীতে বাড়তেছে, কেউ ছাগলামীতে বাড়তেছে, কেউ ধর্মে বাড়তেছে, কেউ কর্মে বাড়তেছে, কেউ দীক্ষায় বাড়তেছে, কেউ শিক্ষায় বাড়তেছে; কারো কোনো কন্ট্রোল নাই। মানুষের গীবত করবো না, নিজের কথাই বলি। ছিলাম ছাগলনাইয়ার মুয়াজ্জিনের পোলা, ভালো ছাত্র দেখে আমাদের গ্রামের এক উঠতি ব্যবসায়ী ঢাকায় নিয়া আসলো দয়া করে পড়াশোনা করাবে বলে। উনিই পড়াইলো মেডিকেল পর্যন্ত। বিনিময়ে উনার বড় মেয়ে শনিরে বিয়া করলাম। তারপর ইংলন্ডের একটা ডিগ্রী গলায় ঝুলায়ে এই যে সকাল-সন্ধ্যা টাকা কামানোর মেশিনে পরিণত হইলাম, আর কি থামতে পারতেছি? সংসার বলতে কিছু টাকা দেওয়া বুঝি, আর জীবন বলতে রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া বুঝি। ছেলেমেয়ে হইছে দুইটা, আমার না মানষের তাও ভালো জানি না। মেয়েরে বিদেশে পাঠাইছি পড়াশোনার জন্যে। এখন মাসে মাসে তার হৃদয় ভাঙ্গে, আমার বউ প্রত্যেক মাসে একবার যায় আমেরিকায় সুই-সুতা নিয়া মেয়ের হৃদয় সেলাই করতে। ছেলে একখান। খারাপ বলবো না। নেশাপেশা কিছুই নাই। আস্তানী-মাস্তানী কিছুই বোঝে না। বোঝে শুধু ভিডিও গেমস। দিনরাত ছব্বিশ ঘণ্টা রুমের দরজা-জানালা লাগাইয়া ভিডিও গেমস খেলে। নাওয়া-খাওয়া, পড়াশুনা, দ্বীনদুনিয়ার সবই তুচ্ছ তার গেমসের কাছে। রুমে বইসা টিভি স্ক্রিনে সে আমেরিকান সৈন্য সাইজা ইরাকের পাহাড় ধ্বংস করে হাহা করে হাসে। তারে আপনি পাগল কইবেন, না ছাগল বলবেন। ইদানীং আমার মনে হয় আমি নিজেই ছাগল।

অলংকরণ: আসমা সুলতানা মিতা

থাক আমার কথা, বলেন আপনার জন্যে কী করতে পারি। মা নীরব। ডাক্তার তালুকদারও কয়েক মিনিট নীরব থেকে আবার শুরু করে। আমি বুঝি আপনার কষ্ট। কিন্তু কী করবো বলেন। এই রোগের কারণ আমরা নিজেরাই। আপনাকে বললে বুঝবেন। না বোঝার কিছু নাই। শিশু কী? শিশু তো আপনার আর আপনার হাসবেন্ডের মিলিত রূপ। তারপর তারে যা ইনপুট দেবেন তাই আউটপুট হিসাবে আপনার কাছে ফেরৎ আসবে। রিসেন্টলি কিছু ইন্টারেস্টিং রিসার্চের কাজ হচ্ছে। তার মধ্যে আমি একটা কাজ করছি তা হলো “হাইব্রিড ফুডস্ ইস দা মেইন কজ অব হোরমোনাল ডিজঅর্ডার”। এই যে আমরা সারাদিন ইনটেক নিচ্ছি। যাই বলেন, মাছমাংস, শাকসবজি, ফলমুল, চাল-ডাল, দুধ-ডিম, তেল-ঘি যা-ই খাই তা-ই তো হাইব্রিড। যেই সবজি হওয়ার কথা তিন মাসে তা বীজ থেকে চারা হয়ে খাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের সীলমোহর নিয়ে বাজারে আসতে সময় নিচ্ছে কয়েক সপ্তাহ। যেই মুরগী খাবার যোগ্য হতে সময় নিতো ৬ থেকে ৯ মাস তা এখন তা ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। সবকিছুই এখন ঘণ্টার হিসাবে চলে তো মানুষের জীবনও তো ঘণ্টার হিসাবেই নাইমা আসবে, নাকি? আপনার ছেলে পাইওনিয়ার, এই যা। ওকে হাইব্রিড শিশু বলা যেতে পারে। ঢাকা শহরের উঠতি বড়লোকদের সবার সন্তানই হাইব্রিড রোগে আক্রান্ত। একটু আগে আমার সন্তানদের কথা তো শুনলেনই। আশেপাশেও একটু নজর দিয়ে দেখেন। সবই ফার্মের মুরগী। আমি আপনাকে আর-একজন ডাক্তারের কাছে পাঠাবো। উনি আমার শিক্ষক। বহুদিন অষ্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করে সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে দেশে চলে এসেছেন। এসে কিছুদিন প্র্যাকটিস করলেও এখন আর তেমন রোগী দেখেন না। দেখলেও ওষুধ দেন না, দেন পরামর্শ। তাই রোগীও উনাকে পছন্দ করে না। আপনি একবার উনার সাথে দেখা করেন। খুব ভালো মানুষ। মিরপুরে নিজের বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে সবজি চাষ করে সময় কাটান। বাজার থেকে কিছুই কিনে খান না। যা উনার গার্ডেনে ফলে তা-ই খান। বাড়িও মাশাল্লা বিশাল! কয়েক একর জায়গা নিয়া। তাই উনার যা প্রয়োজন তার প্রায় সবই ফলাতে পারেন। ছেলেমেয়েকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন। ঘোষণা করলেন ছেলেমেয়েকে কৃষক বানাবেন। শুনে মার সাথে আঁতাত করে তিনজনেই আবার অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাক করেছে। যাওয়ার আগে অবশ্য উনাকে পাগল উপাধি দিয়ে গেছে। স্যারকে সবাই পাগল জানলেও আমি জানি উনি কত সুফী মানুষ। চিকিৎসার নামে সারা দুনিয়াতে যে কসাইদের ব্যবসা গেড়ে বসেছে তার বিরুদ্ধে উনি খুবই সোচ্চার। সারা দুনিয়ার ওষুধনীতি, স্বাস্থ্যনীতি সবই ব্যবসায়ীদের ফেবারে করা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ মনে করি অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকা-ইউরোপ Ñ ওরা মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। আসলে কিন্তু তা না। যত মনে করি তত না। আমি নিজে তো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যনীতি-ওষুধনীতি দেখে আসলাম। স্যারের মুখে শুনলাম অস্ট্রেলিয়ার কথা, ইউরোপ-আমেরিকার কথাও এখন আমরা শুনতেছি-জানতেছি। প্রোফিট যেখানে মুখ্য সেখানে কি আর সেবা থাকে? উনি বহু চেষ্টা করছেন উনার কিছু রিচার্স পেপার বিভিন্ন জার্নালে দেওয়ার, পারেননি। অথচ উনার রিচার্স পেপারের জন্যে জার্নালের এডিটরগুলো উনাকে অগ্রিম টাকা পাঠিয়ে দিতো। সেই লোকের লেখাই যখন ওষুধ কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে গেল, টাকা দেওয়া তো দূরের কথা ছাপানোই গেল না। দেশেও চেষ্টা করলো আন্দোলন-ফান্দোলন করার। কে শোনে কার কথা, বলেন! আমি নিজেও উনার সাথে এখন আর দেখাসাক্ষাৎ করি না। করলে আবার আমাদের ‘বিএমএ-ড্যাব’ মাইন্ড করে। বুঝেন তো, করে খেতে হবে না! উনার না হয় বিশাল বাড়ি আছে। আমাদের তো, যাক সে কথা, যার যার অভিরুচি, কী কন? আমারে টাকার নেশা ধরছে মরণের আগে তা আর ছাড়বো না। খামুকা স্যারেরে দোষ দিয়া লাভ নাই। যান একবার দেখা করেন।
আমরা নিশ্চল পাথরের মতো তার কথাগুলো শুনছিলাম। মানুষ দেখি সবই বোঝে কিন্তু করে নিজের মতলব মতো। ভালমন্দ সবই বোঝে কিন্তু করবে মন্দটা Ñ এই রহস্যের কোনো ক‚লকিনারা দেখি না। অবশ্য সবাই কি মন্দটা করে? না মনে হয়। এই যে আমার মা। উনি তো মন্দ কাজ করে না। নাকি শুধু আমার বেলায় করে না? কি জানি!
আমরা কোনো ওষুধপথ্য ছাড়াই ডাক্তার তালুকদারের চেম্বার থেকে ফিরে এলাম।
চলবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments