
বেদন ভ্রুণ
চাঁদমারি বনে চমৎকার পানসে জীবনও অপূর্ব হয় দুচোয়ানীর চুমুকে
যামিনীর শেষ লগ্নে জীবন মরুর ঘোলাটে চোখে ধু ধু বালুচর হোক পুস্পিত উদ্যান
ভাটফুল হাতে মারমেইড আসে ক্ষত বেদনার জমিনে
জস ওঠে থিরথির কাঁপে অপার আনন্দের স্বর্গসুখে
শত বছরের শ্রম সাধানায় সমুদ্র তারার বুকে শোভা পায়
বেদন ভ্রুণের কলি।
ক্যাকটাস
বেদনা উৎসারিত ক্যাকটাস ফুলের মৌতাতে কবিতার বীজ বুনি
হৃদয় বিষাদে চাঁদমারি বনে
কেয়াফলের রসে টলোমলো আঁখিতে আঁকি বেদন ফুলের বিষন্ন স্কেচ
জোসনা প্লাবিত ঝাউবনের আড়ালে
কেউ কেউ শুয়ে থাকে আরামে অবসাদে।
বেদন ফুলের চিকচিক রুপে চন্দ্রাবতীর কিরণে জ্বলে ওঠে বিষন্নতার মরুপাঠ
কেয়াবনের আড়ালে গোঙানির চিৎকার ভাসে জোসনার নাচনে
হেমন্তের মৃদুলা বাতাসে তালের রসে মজে
গেয়ে ওঠে মুসাফির
আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে।
মানিক বৈরাগী: কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
অলংকরণ: আসমা সুলতানা মিতা