প্রশান্তিকা ডেস্ক প্রবাসে বর্ষবরণ, ঈদ পুনর্মিলনীর মতো অনুষ্ঠানগুলো চলতে থাকে প্রায় মাসব্যাপী। ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিকভাবেও এইসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর তাতে থাকে ষোলআনা বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। দেশে ফেলে আসা উৎসবের দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনার একটা চেষ্টা থাকে আয়োজকদের মধ্যে। উৎসবের উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে সাজানো হয় সবকিছুই । এমনই এক আয়োজনে গত ১৩মে ২০২৩ শনিবার, বাংলানববর্ষ ১৪৩০কে বরণ করে নিল সিডনির দক্ষিণ পশ্চিমের বাংলাদেশী অধ্যুষিত সাবার্ব মিন্টোর টুকিটাকি গ্রোসারি।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে টুকিটাকি গ্রোসারির বাইরের দেয়ালে এবং মেঝেতে করা হয় বাহারি আল্পনা। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে এইআয়োজন চলে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত। পুরোটা সময় টুকিটাকি গ্রোসারির সামনের কারপার্ক ছিল লোকে লোকারণ্য। এই আয়োজনে অতিথি ও ক্রেতা সাধারনের জন্য খাবার হিসাবে ছিল বার–বি–কিউ ওকোমল পানীয়। আর অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় জুড়ে ছিল সিডনির স্থানীয় শিল্পীদের দেশীয় গান পরিবেশন। অভ্যাগতরা মুখরোচক খাবারের সাথে সাথে উপভোগ করেন এইসব গান। কখনওবা গলা মিলিয়েছেন পরিচিত গানের সুরে।
এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। টুকিটাকিগ্রোসারী‘র ক্রেতারা বলেন, “টুকিটাকি গ্রোসারি ও হালাল বুচারী সিডনিতে আমাদের দেশীয় খাবারের স্বাদ ও হালাল মাংসের চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি তারা সুলভ মূল্যে দেশী মশলা সহ অন্যান্যনিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে। এছাড়াও টুকিটাকি ফুসকাআড্ডাতে থাকে একেবারে দেশীয় স্বাদের বিভিন্ন রকমের বাহারিখাবারের আয়োজন। আমরা তাই এখান থেকে বাজার করারপাশাপাশি বিভিন্ন দেশীয় খাবারের স্বাদও নিতে পারি। আর আজকেরআয়োজন সেই ধারাবাহিকতাকে যেন পূর্ণ মাত্রা দিল।“
টুকিটাকি গ্রোসারি‘র পক্ষ্যে নূরুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমাদের বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের অংশ হিসাবেই আমরা এই বর্ষবরণঅনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এর আগে আমরা পিঠামেলা এবংঈদের চাঁদরাতে মেহেদী উৎসবেরও আয়োজন করেছিলাম। এই উৎসবগুলোতে সব বয়সী ক্রেতারা ভিড় করেন। এতে করে একদিকে বড়রা যেমন দেশে ফেলে আসা স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ পান অন্যদিকে ছোটরা দেশের উৎসবের কিছুটা হলেও ছোঁয়া পায়। আমরা এভাবেই প্রবাসী প্রজন্মের মধ্যে বাঙালি উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।