রাফিয়া হাসিন যুঁই, মেলবোর্ন থেকে: গান, একমাত্র গানই পারে মানব মনের সব দুঃখ, কষ্ট ভুলিয়ে সবাইকে একত্রিত করে রাখতে। সেইরকমই একটি প্রচেষ্টা ছিল গত ২০ অক্টোবর এবিসিএক্স এর ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে।
‘মাকসুদ ও ঢাকা ’ এবং ‘চিরকুট’ ব্যান্ডদের নিয়ে মেলবোর্ন প্রবাসী বাঙালীদের যথেষ্ট উৎসাহ এবং আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কোথাও যেন হঠাৎ করে একটা তাল কেটে যায় মাত্র একদিন আগে ১৮ অক্টোবর বাংলা ব্যান্ড সংগীতের যাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণে। তারপরও পূর্বনির্ধারিত দিনেই অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট।
চিরকুট ব্যান্ড প্রধান সুমির আহবানে উপস্থিত শ্রোতা, দর্শক সবাই মিলে আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেন এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের মাধ্যমে। চিরকুট ‘সেই তুমি‘ গানটি গেয়ে স্মরণ করেন বাংলাদেশের গিটারের যাদুকর আইয়ুব বাচ্চু কে। এরপর তারা একে একে পরিবেশন করেন তাদের জনপ্রিয় কিছু গান। চিরকূটের উপস্থাপনা দুর্দান্ত হলেও, বিশেষ করে মনে দাগ কেটেছে , গিটারিস্ট ইমন। অসম্ভব প্রতিভাবান এই ছেলেটি একাধারে বাজাতে পারে অনেক ধরণের বাদ্য যন্ত্র। তাঁর গিটারের মূর্চ্ছনায় সে রাতে কনসার্টে উপস্থিত প্রতিটি দর্শক কে সে স্তব্ধ করে দিয়েছে। কোনো প্রশংসাই তার জন্য যথেষ্ট নয়।
চিরকুটের অনবদ্য পরিবেশনার পর মঞ্চে আসেন কিংবদন্তী গায়ক মাকসুদ তার ব্যান্ড ঢাকা কে নিয়ে।এসেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযাত্রী, আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি। তারপর ধরেন তাঁর বন্ধু বাচ্চুর গাওয়া গান ‘বন্ধু তোমায় মনে পড়ছে ’ , যে গানটি ঐ সময়ে সবাইকে আবারও আবেগে ভাসিয়ে দেয়।মাকসুদ কিছুটা বিরতি নিয়ে নিজে অনেকটাই আবেগ কে দমিত করে আবার মঞ্চে ফেরেন তার পরিচিত সব গান নিয়ে। মৌসুমী, গীতিকবিতা, গোধূলী, কেন খুলেছো তোমার ওই জানালা সহ আরো অনেক গান। শেষ করেছেন ‘মেলায় যাই রে‘ গানটি দিয়ে।
অনুষ্ঠান শেষে সবার একটিই কথা ছিল, যত শোক, যত দুঃখই আসুক না কেন – সবকিছু আমরা জয় করবো গান দিয়ে।