মেলবোর্নে ঢাবি ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক: গত ১৯ অক্টোবর শনিবার এক উৎসবমুখর পরিবেশে টার্নেট রাইজ প্রাইমারি স্কুলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের সংগঠন ডিইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় পূনর্মিলনী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় নদী ও সুবর্ণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গতবছর ১৪ জুলাই আয়োজন করা হয়েছিল এর প্রথমপুনর্মিলনী। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার মাইকের দায়িত্বে ছিলেন দর্শনেরপ্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা সুলতানা নদী ইতিহাসের প্রাক্তন ছাত্রী রওনক রাব্বানী সুবর্ণা। এবারের আয়োজনেঅংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা  ছিল গতবারের চেয়েও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি। এবারের উৎসবের থিমবা বিষয় ছিল ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাস জীবন আড্ডা, আর তাই টিএসসি আদলেইসাজানো হয় মঞ্চ এবং হলরুম। এবারের পূনর্মিলনীর দুটি আকর্ষণীয় দিক ছিল, ‘কি নোট স্পিকারঅধ্যাপক : সলিমুল্লাহ খান বক্তব্য  এবং ডিইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে তাদের  প্রথমপ্রকাশনাক্ষণিকা

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খানকে বরণ করে নেয়া হয়

সন্ধ্যা ৭:০০টায় অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী এবং সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খানের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে মঞ্চে ডাকা হয়। ডিইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন এই অনুষ্ঠানের ডায়মন্ড স্পনসর পিএনএস গ্রাফিক্স’এর কর্ণধার কামরুল হাসান চৌধুরী। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে অনুরোধ করা হয় তার বক্তব্য রাখতে। উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত আগ্রহের এবং মনোযোগের সঙ্গে উপভোগ করেন ড: সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্য।

সন্ধ্যা  ৮টার সময় মাগরিবের নামাজের ১০ মিনিট বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব। রাত নয়টায় পরিবেশন করা হয় নৈশভোজ। এরপরই শুরুহয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব।গান, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ আর রাফেল ড্র ছিল এই সাংস্কৃতিক পর্বের মূল আকর্ষণ। সকল প্রাক্তন ঢাবিয়ানদের পদচারণায় আর প্রাণবন্ত আবেগী উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের হলরুমটি যেন হয়ে উঠেছিল একটি জীবন্ত টিএসসি বা মধুর ক্যান্টিন বা কার্জনহল। সবাই ছিল স্মৃতি কাতরে আবেগী এক সময়ে, বহুদিন পর যেন সবাই ফিরে পেয়েছিলো আবার সেই বিশ্ববিদালয়ের দিনগুলি। সবশেষে অর্থনীতির প্রাক্তন ছাত্রী এবং প্রকাশনা ‘ক্ষণিকা’ র সম্পাদক জীনাতুর রেজা খানের বিদায়ী বক্তব্য ও সকলের সমবেত কণ্ঠে রবি ঠাকুরের “পুরনো সেই দিনের কথা” মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই মিলন মেলার।

যাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ :
পি এন এস গ্রাফিক্স, এস আর লইয়ার্স  এন্ড মাইগ্রেশন সার্ভিসেস,  ওয়াসিস একাউন্টিং, এনলাইটেন ফিনান্স, ম্যানওর লেকস চারকোল চিকেন, এন কে পি ব্রোকার, ফ্রেশ বাজার এন্ড হালাল মিট, আজওনা মোটর্স। মিডিয়া পার্টনার: বাংলাদেশী ব্রডশীট। এবং ডিইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার কার্যকরী কমিটি, সকল সদস্য, সকল স্বেচ্ছাসেবী, এবং অংশগ্রহণকারী সকল প্রাক্তন ঢাবিয়ান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments