মেলবোর্নে শিল্পী মিতা চৌধুরীর দ্বিতীয় একক চিত্রপ্রদর্শনী : সংযোগের নৈকট্য

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক : গত ১১ ই নভেম্বর থেকে মেলবোর্নের ইনসিনিরেটর গ্যালারিতে শুরু হয়েছে শিল্পী মিতা চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী- প্রক্সিমিটি অফ কানেকশন। ভিন্নধর্মী এই চিত্র প্রদর্শনীটিতে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে দেশী তাঁতের শাড়ি এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে বিশেষভাবে সংগৃহীত রং। এভাবেই দুই দেশের মেলবন্ধন ঘটেছে মিতার তুলিতে।

.

মিতা তার ঐতিহ্যগত বাংলাদেশী এবং অস্ট্রেলিয়ান অভিবাসী-সেটেলার এই উভয় পরিচয়ের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও পটভূমির মাধ্যমে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে তার “সংযোগ ও বিচ্ছিন্নতা” অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
মিতা তার এই অভিব্যাক্তি প্রকাশের জন্য তার কাজের উপাদান, উপকরণ ও বিষয়বস্তু খুই সতর্কতার সঙ্গে নির্ধারণ করেছেন। নির্বাচিত উপাদান ও উপকরণগুল
তাদের রূপক অর্থ এবং সাংস্কৃতিক নির্দিষ্টতার জন্য যত্ন সহকারে নির্বাচিত উপকরণগুলির সাথে কাজ করে, তিনি দেশীয় পাতা এবং ওয়াটল থেকে তৈরি বোটানিক রং দিয়ে দেশটিতে অভিবাসী হিসাবে তার অভিজ্ঞতার উল্লেখ করেন। মিতা শাড়ির ইতিহাস এবং বস্তুগততার উপরও ব্যাপকভাবে আগ্রহী, এই প্রদর্শনীতে তার বৃহৎ আকারের প্রতিকৃতি এবং ইনস্টলেশন অনুশীলনের জন্য একটি ক্যানভাস হিসাবে শাড়িকে তার ঐতিহ্যগত অবস্থান থেকে বাইরে এনে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

.

একজন অভিবাসী, অশ্বেতাঙ্গ-নারী ও সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার মিশ্রনে যে জটিল সার্বজনীন সমস্যাগুলির মুখোমুখি তিনি হন প্রতিদিন তার বর্ণনা তিনি তুলে ধরেছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, স্মৃতি, ইতিহাস এবং নিজ অভিজ্ঞতার দ্বারা।

একইভাবে এই প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে পূর্নব্যবহারের ধারণা। যে কারণে ব্যবহৃত শাড়ী হয়ে উঠেছে ক্যানভাস। অস্ট্রেলীয় পাতা ও গাছের ডাল সুতায় বেঁধে সেই ক্যানভাসে দেয়া হয়েছে নতুন মাত্রা।

একক চিত্র প্রদর্শনীর সম্পর্কে শিল্পী মিতার সাথে আলাপচারিতায় মিলিত হন প্রশান্তিকার প্রদায়ক সম্পাদক ফারিনা মাহমুদ। নিচে দেখুন সেই কথোপকথনটি-

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশন্তিকা মুখোমুখি হয়েছে মিতার এবং পাঠকদের জন্য তুলে এনেছে এই প্রদর্শনীর ভাবনা ও দর্শন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমান দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মুনি ভ্যালি কাউন্সিলের সি ই ও হেলেন সুই, ডাইরেক্টর বেঞ্জামিন হ্যারিস, সঞ্জীব রাও, কাউন্সিলরবৃন্দ সহ আরো অনেকে। আগত অতিথিরা মিতার এই চমৎকার উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

প্রবেশ মূল্য বিহীন এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২২ শে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments