প্রশান্তিকা ডেস্ক: এশিয়ার নোবেল পুরস্কার খ্যাত ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে ফিলিপাইন থেকে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আজ পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘লাখো মানুষের উপকারে টিকার উন্নয়নে তাঁর নিবেদিত ভূমিকার জন্য’ এই পুরস্কার দেওয়া হলো।

কলেরার টিকার সহজলভ্যতা, এর গবেষণা এবং সাশ্রয়ী দামে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে বিতরণে ফেরদৌসী কাদরী ২৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। গণমাধ্যমগুলো জানায়, পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার পরে ফেরদৌসী কাদরী ম্যাগসেসে কমিটির কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি, রামোন ম্যাগসেসেকে এ জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশ, আমার জন্মভূমির প্রতি উৎসর্গ করলাম। সেই সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবিকে উৎসর্গ করছি। এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আমার কাজ এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে।’
ফেরদৌসী কাদরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও আণবিক জীববিদ্যা বিভাগ থেকে ১৯৭৫ সালে বিএসসি ও ১৯৭৭ সালে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন, প্রতিষেধকবিদ্যা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
উল্লেখ্য, রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারের জন্যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত ব্যক্তি বা সংগঠনকে ফিলিপাইনের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি রামোন ম্যাগসেসের নাম অনুসারে প্রবর্তিত এ পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে মূল্যায়িত করা হয়। ১৯৫৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এর আগে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আব্দুল্লাহ আবু সাইয়িদ, মতিউর রহমান, মুহাম্মদ ইউনুস, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ফজলে হাসান আবেদ, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান সহ প্রমুখ এই পুরস্কারে ভূষিত হন।