রোনালদোর হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে জুভেন্টাস

  
    

স্পেনের মাটিতে অ্যাটলেটিকোর কাছে ০-২ ব্যবধানে হার জুভেন্টাসের। গ্যালারি থেকে সর্বত্রই বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন রোনালদো। বিদ্রুপ এতটাই চটিয়ে দিয়েছিল, যে হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ইঙ্গিত দেখিয়ে সেদিন মিক্স জোন ছেড়েছিলেন। ছবিটা ২১ ফেব্রুয়ারির।

এরপর বুধবার (১৩ মা) তুরিনে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর এক মিনিট বাকি। মাঠে নামার আগে টানেলে শুরু রোনালদোর ছটফটানি। তখনও দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফিরতে চাই এক গোল। নিজে লাফাচ্ছেন, সঙ্গে দলের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে কপালে কপাল ঠুকে মোটিভেশনের বুলি আওড়াচ্ছেন। শেষটায় রেফারিকেই সতীর্থ ভেবে ভুল করে গোল চাই বলে গর্জন। এক মুহূর্তে দেখলে মনে হতেই পারে খাঁচার ভিতর রক্তের স্বাদ পাওয়া ক্ষুধার্ত সিংহ।

তুরিনের দুই অর্ধ যদি ইন্টারভালের সেতুতে জুড়ে থাকা সিনেমার দুই পার্ট হয়। তবে রোনালদোর হিট সিনেমার এন্ড স্ক্রোল দেখে বলতেই হবে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে পিছিয়ে থেকে এমন অনেক ম্যাচ একার কাঁধে বের করেছেন। এবারও করলেন। পার্থক্য শুধুই আলাদা জার্সি, আলাদা শহর। দিন শেষে ক্রিশ্চিয়ানোর হ্যাটট্রিকে (২৭,৪৯, ৮৬ মিনিট) দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে অ্যাটলেটিকো বধ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে জুভেন্টাস।

যেন শেষদৃশ্যে নায়কের এক পাঞ্চেই ভিলেন কুপোকাত। হিট সিনেমার এমন ফর্মুলার মতোই ‘হেডস্যার’ রোনালদোরর জারিজুরিতেই বিপক্ষ ঢপাস। দুটো মাথায় হারালেন আর একটা সহজ পেনাল্টিতে। বছর ৩৪ এর হিরোর হ্যাটট্রিকে হিরোইন জর্জিনাও ক্লাইম্যাক্সে জলে চোখ ভাসালেন। বড় অঘটন না হলে জুভেন্টাস থেকেই কেরিয়ারে ইতি টানবেন। ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়টা সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চিত্রনাট্য লেখার কাজটা বোঝহয় এদিন থেকে শুরু করে দিলেন৷

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments