
প্রশান্তিকা রিপোর্ট: যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো
এক বর্ষায়
এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে….
সিডনিতে গ্রীষ্মের দাবদাহ, দাবানল। মনে আকুল প্রার্থণা, বৃষ্টি আসুক। ১৩ নভেম্বর আসলেই আমাদের বৃষ্টির কথা আরও বেশি মনে পড়ে। এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বৃষ্টি ও বর্ষাপাগল বাংলা সাহিত্যের দিকপাল মানুষ যাদুকরী কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। এদিন সন্ধ্যায় সিডনিতে হুমায়ূন ভক্তরা মিলিত হয়েছিলো হুমায়ূন তীর্থ নামে পরিচিত লাকেম্বার গ্রামীণ রেঁস্তোরায়। তাঁর স্মৃতিতে খঁচিত প্রতিকৃতির সামনে তাঁর নামে কেক কেটেছে হিমু, শুভ্র, বদি, বাকের ভাই, মিসির আলী আর নান্দাইলের ইউনুসেরা।
ছিলোনা কোন আড়ম্বর বা আনুষ্ঠানিকতা, ছিলো স্বতস্ফুর্ততা। ভক্তরা জানতো এদিনে এখানে কেক কাটা হবে। এই রেস্টুরেন্টের দোতালায় পুরো দেয়াল জুড়ে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের প্রতিকৃতি। এবছর তাঁর ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হক এসেছিলেন এই কক্ষে। তাঁরা সযত্নে লালিত এই পোর্ট্রেট দেখে কেঁদেছেন, বলেছেন, ‘তোমরা এটা কি করেছো?’
গতকাল প্রবাদ প্রতীম এই মানুষের জন্মদিনে সবাইকে একত্রিত করার সুযোগ দিয়েছিলেন গ্রামীণের আশরাফুল হক। এসেছিলেন মেহেদী হাসান কচি, আরিফ, এস এম আমিনুল রুবেল, ফাহাদ আসমার, ফয়সাল চৌধুরী, আশরাফ, আরিফুর রহমান পাশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উপন্যাস সহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর লিখিত সব গ্রন্থই বহুল পঠিত এবং বিক্রিত। তিনি ময়মনসিংহ জেলার কুতুবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ক্যান্সারের চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।