
প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনির ক্যান্টারব্যুরি-ব্যাংক্সটাউন কাউন্সিলের বাংলাদেশী অধ্যুসিত লাকেম্বার কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ শাহে জামান টিটু। তিনি গত ২৪ শে মার্চে এই পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। তার পদত্যাগের পরে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নেতিবাচক প্রপাগণ্ডার শিকার হন শাহে জামান টিটু। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী তার নামে নেতিবাচক কথা ছড়াচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাস করলে জনাব টিটু বলেন, একটি মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অর্থনৈতিক সংকটে ভূগছেন। সেই লক্ষ্যে গত ২৪ শে মার্চে নিজেকে দেউলিয়া (ব্যাংকরাপ্সি) ঘোষণা করেন।
প্রশান্তিকার সঙ্গে আলাপকালে শাহে জামান বলেন, “মহলটি আমার পদত্যাগকে পদচ্যুত বলছেন এবং এরসাথে নানাবিধ মিথ্যে কথা বলে প্রপাগণ্ডা ছড়াচ্ছেন এবং আমাকে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে হেয় করছেন।”
এ প্রসঙ্গে শাহে জামান বলেন, “আমি নিজে পদত্যাগ করেছি। আমি চাইনি ভবিষ্যতে আমার দেউলিয়া অবস্থার কারণে পদচ্যুত না হতে হয়। সেজন্যে স্বজ্ঞানে আমি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।”
ক্যান্টারব্যুরি-ব্যাংক্সটাউন কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে শাহে জামান পদত্যাগ করেছেন। সম্পুর্ন ব্যক্তিগত কারনে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরে তিনি প্রথমে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং অস্ট্রেলিয়ান আইন অনুসারে তিনি আর জনপ্রতিনিধিত্ব আপাতত করতে পারবেন না মর্মে পদত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশী কমিউনিটির আরেক কাউন্সিলর মোহাম্মাদ নাজমুল হুদা বলেন, ‘মানুষের জীবনে ভালো এবং মন্দ দুটো সময়ই হয়তো আসে। আমাদের সবার উচিত তার পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতা করা।’
শাহে জামান টিটু ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের নির্বাচনে লিবারেল পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। এবছরের ১২ ই সেপ্টেম্বরে কাউন্সিলর হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার কথা ছিলো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির রাজনীতি করে আসছেন। এর আগে ২০১৬ সালের ২ জুলাইতে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টি থেকে ওয়াটসন আসনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং লেবার পার্টির টনি বার্কের কাছে পরাজিত হন।