
প্রশান্তিকা ডেস্ক: আইসিসি’র দেয়া শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব আল হাসান শাস্তি মেনে নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
দোষ স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। দু:খ ভারাক্রান্ত সাকিব বলেন, “যে খেলাটাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেই খেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে আমি দুঃখিত। তবে অনৈতিক প্রস্তাবের ব্যাপারটি আইসিসি আকসুকে না জানানোয় যে শাস্তি দেয়া হয়েছে, তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।”
ক্রিকেটকে দূর্নীতিমুক্ত করতে আইসিসি আকসু সবচেয়ে বেশি ভরসা করে ক্রিকেটারদের সহযোগিতার উপর। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পালন করতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “শতকোটি ভক্ত ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতো আমিও চাই ক্রিকেট থাকুক দূর্নীতিমুক্ত। তাছাড়া আগামীর তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা যেন আমার মতো ভুল না করে সে জন্য আমি আইসিসির আকসুর দুর্নীতিবিষয়ক শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো।”
সংবাদ সম্মেলনে পাশে ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। পাপন বলেন, আইসিসি’র দেয়া তিনটি সময়ে জুয়াড়ির সাথে সাকিবের যোগাযোগের কিছুই তিনি জানতেন না।
বিডিনিউজ২৪ জানায়, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আইনের তিনটি নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি। মঙ্গলবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে তারা, এরমধ্যে এক বছরের স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞা। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট (এসিইউ) গত ২৩ জানুয়ারি ও ২৭ আগস্ট সাকিবের সাক্ষাৎকার নেয়। সেখানে তিনি জানান, দীপক আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ির ডলারের প্রস্তাব পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত সফরে খেলতে পারছেন না বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের অবর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুল এবং টি টোয়েন্টিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।