দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাঁকে একনজর দেখার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে লাখো জনতার ঢল নামে। সেদিনের গগণবিদারী মেঘের গর্জন, ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিলো, আর অবিরাম মুষলধারে ভারি-বর্ষণে যেন ধূয়ে-মুছে যাচ্ছিলো বাঙলার মাটিতে পিতৃহত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের গণসংবর্ধনায় লাখো জনতার সামনে বুকফাটা আর্তনাদের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বাঙলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ছোট ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে প্রবাসে দীর্ঘ ৫ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাঙলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এটা একটি মাইলফলক। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ।
শুভ জন্মদিন আপা। জয় বাঙলা, জয় বঙ্গবন্ধু; জয়তু শেখ হাসিনা।
এস এ রহমান অরূপ
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া শাখা।