
খুব অবাক হয়েছি যে একজন মাওলানা (কাউকে বলা যায় কিনা!!)-র মহানবী (সাঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলার জন্য, দায়ের করা মামলায় বয়াতি শরিয়ত সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বিজ্ঞ আদালত তাঁকে দশ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে। শরিয়ত সরকার তাঁর বক্তব্যে কখন কটূক্তি করলেন বা ইসলাম অবমাননার কথা বললেন সেটা আমার কাছে দারুণভাবে অস্পষ্ট বা আমি শুনিনি। তিনি তো ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছেন তাহলে একজন প্রকৃত মুসলমানের উচিত ছিল তাঁর চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে সে মোতাবেক যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা। কিন্তু তিনি বা তারা সেটি না করে ডিজিটাল আইনে মামলা করে দিলেন কারণ এদেশে মতের মিল না হলে নির্দিষ্ট তকমা দিয়ে মামলা করে জেলে ঢোকানো খুব সহজ ব্যাপার (আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হচ্ছে)। এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো কতটা মূর্খ আর অসংস্কৃতের দেশে আমরা বাস করি।শরিয়ত সরকার তো পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বাজি ধরে কবিগান ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তাহলে কেন আমাদের হাদিসবেত্তা বা বড় বড় আলেমগণ এই তাঁর মতো একজন নগণ্য জ্ঞানের মানুষকে থামিয়ে দিলেন না(!) – একজন মুসলিম হিসাবে সে প্রশ্ন আমি করতে পারি বই কি।
ইসলামে কি আসলেই সঙ্গীত এবং বাদ্য বাজনা হারাম? এ সম্পর্কে কোরআনে বা হাদীসে কী বলা হয়েছে সে সম্পর্কে মত পার্থক্য আছে। সৌদিআরব এবং ইরানের মতো দেশগুলো যেখানে শরীয়া আইন চালু আছে সেসব দেশেরও নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্র আছে এবং জাতীয় সঙ্গীত বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিবেশন করা হয়।
সব মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি কিন্তু শ্রুতিমধুর হয়না। মহাকবি কায়কোবাদ এর সেই “মর্মে মর্মে সেই সুর,বাজিল কী সুমধুর/আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধমণী/কী মধুর আযানের ধ্বনি।”-র কিন্তু একটা স্কেল আছে। যখন সুমিষ্ট কণ্ঠে নির্দিষ্ট স্কেল মেনে আযান দেওয়া হয় তখনই তা মানুষের হৃদয়কে আকুল করে তাই তো যিনি সুন্দর করে আযান দিতে পারেন তাকেই মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কোরআন তেলোয়াতের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সাধারণ মানুষের তেলোয়াত আর পেশাদার ক্বারীদের তেলোয়াতের মধ্যে পার্থক্য আছে, এই পার্থক্য কী সেটা সহজে অনুমেয়। বহুল প্রচলিত হামদ-নাত ছাড়াও জনপ্রিয় বাংলা ও হিন্দি গানের সুরে গাওয়া হচ্ছে আরো অনেক হামদ-নাত তখন কিন্তু এই তথাকথিত হুজুর( এটাও বলা যাবেনা,হুজুর কেবল একজন)রা একবারও বলে না আল্লাহ্ রাসূলের প্রশংসা করে এইগানগুলি অন্য কোন বিনোদিত গানের সুরে গাওয়া যাবে না। যতসব ভণ্ডামি!

গ্রামগঞ্জে প্রচলিত প্রবাদ “উচিত কথা বললে খুঁচিতে ঘা লাগে” শরিয়ত সরকার তো আসল জায়গায় টান মেরেছে এটা সহ্য করা তো ঐসব ধর্ম বেঁচে খাওয়া মূর্খদের জন্য একটু জটিলই বটে।এ সকল মুখোশধারীরা কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করে নিজেদের সুবিধা মতো, কোন সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে এদের গলা চড়ে না, এদের একটাই পুঁজি বেঁচে খাওয়ার সেটা ইসলাম আর মহানবী (সাঃ)। গান- বাজনার ব্যাপার নিয়ে ইসলামী স্কলারদের মধ্য মতপার্থক্য আছে। বেশিরভাগ মনে করেন মিউজিক থেকে দূরে থাকা ভালো কারণ সময়ের অপচয় এবং আল্লাহ্ কে ভুলিয়ে রাখে। ভালো কথা, তাই যদি হয় তাহলে দুনিয়াতে অনেক কিছু আছে যা সাময়িকভাবে আল্লাহ্ কে ভুলিয়ে রাখে তাহলে মিউজিকের উপর এই আঘাত কেন?
মুসলমানদের মধ্যে অনেক তরিকা আছে এবং কোন কোন তরিকায় গানের মাধ্যমে আল্লাহ্ র নৈকট্য লাভের আশা করা হয়। উপমহাদেশে সুফিবাদের সাথে সঙ্গীতের সম্পর্ক প্রচুর। খাজা বাবা মইনুদ্দিন চিশতী( রঃ) তার প্রকৃষ্ট উদহারণ। আবু ইশক শামির পর তিনি এই তরিকার অষ্টম ব্যক্তি যা চিশতিয়া তরিকা নামে প্রসিদ্ধ। সঙ্গীতের ব্যাপারে কোরআনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা সম্পর্কিত যে সকল সূরা উদহারণ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়- সূরা বণি ইসরাইল আয়াত ১৭:৬২,সূরা লোকমান ৩১:৬, সূরা আন-নজম ৫৩:৬১,( আল্লাহ্ পাক বলেছেন, তোমরা ক্রীড়া কৌতুক করছো বা তোমরা কি এ কথার উপর আশ্চর্য্যান্বিত হচ্ছো ও হাসাহাসি করছো এবং কাঁদছো না অথচ তোমরা সঙ্গীত বা গানবাজনা করছো।)সেখানে কাফিররা যখন কোরআন তেলোয়াত শুনতে চাইতো না তখন জোরে জোরে গান বাজনা করতো (তফসির পড়ে তাই মনে হয়েছে)। সেখানে কোথায় স্পষ্ট করে ‘হারাম’ শব্দ টি বলা আছে? কে হারাম মানবে, কে মানবে না এটা একান্তই যার যার নিজস্ব ব্যাপার হওয়া উচিত এটা নিয়ে অন্যের কেন মাথা ব্যথা বুঝি না। যেখানে কোরআনে সুস্পষ্ট করে হারাম-হালালের প্রভেদ করে দেওয়া আছে যেখানে মূর্খতার কোন স্থান আছে কি?
নবীজী (সাঃ) যখন মদিনায় হিজরত করেন তখন একদল ছেলেমেয়ে বাদ্য(দফ) বাজিয়ে গান করে আনন্দ প্রকাশ করেছিল তখন কোন একজন সাহাবী থামিয়ে দিতে চাইলে নবীজী (সাঃ) নিষেধ করেছিলেন। এমনকি বিয়েতে ও গান-বাজনা করে সবাইকে জানিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছিল।যারা বলছে হারাম তারা যুক্তি দিচ্ছে গান বাজনা হলো:-
১.যেনার রাস্তা স্বরূপ (ফাহেশা)
২.করত বা হত্যা করতে কখনো উৎসাহিত করে( গান বাজনা করতে করতে মানুষ বেহুঁশ হয়ে নাকি হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। জানিনা এমন কিছু কখনো হয়েছে কিনা)
৩.শিরকের নিদর্শন(কারণ জনপ্রিয় কাউকে মানুষ আল্লাহ্-র চেয়ে নাকি বেশি ভালোবাসে। কী হাস্যকর যুক্তি!)
৪.ফেৎনা সৃষ্টি
আজকের সমাজে এসবের জন্য সঙ্গীতও একটা উপলক্ষ করে দায়ী করা হচ্ছে। উক্ত যুক্তিগুলো কতটা যুক্তিহীন তা আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে না।
যত্রতত্র ওয়াজের নামে যা খুশি তাই বলছে এবং নারীকে আক্রমণ করে কথা বলে সবচেয়ে বেশি অথচ এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলে না বা আইন-আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। ইসলাম নারীকে যতটুকু সম্মান দিয়েছে এরা সেটুকুও দিতে নারাজ সম অধিকারের কথা নাইবা বললাম। নারীকে বলেছে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি দিতে সেই সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, কোরআনে তো বলা হয়নি এর বেশি দেওয়া যাবে না বা নিষিদ্ধ তাহলে তারা সেটা বলে না কেন বা দেয় না কেন ? বলা হচ্ছে জ্ঞান অর্জন মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ তারা বলছে মেয়েদের চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়াও। কোন সভ্য দেশে এটা কী করে সম্ভব। তারা এসব বিষয়ে বলবে না কারণ তারা নারীকে ভোগ্যপণ্যের বেশি কিছু ভাবতে চায় না বা ভাবে না।
আজকে যে ভঙ্গিতে বা যে স্টাইলে (মনে হয় যেন কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে:অধিকাংশ চিৎকার করে) ওয়াজ করে সেভাবে ইসলামের বাণী প্রচার করার বিধান আছে কিনা বা সহী কিনা? আধুনিক কিছু আলেম তো আবার সুর করে গানের তালে তালে বয়ান করে।
আধুনিক বিজ্ঞান বলছে গান এবং সুরের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি শিখন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তারপরেই আছে ছবি। শিশুদের শেখার ধরণ ও স্মরণে রাখার কৌশলগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই এর সত্যতা মেলে।একটা চৈনিক প্রবাদ – I hear I forget, I see I remember and I do I learn. এ কথার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ। শিশুরা মায়ের মুখে প্রথম শেখা সুর আর গান দিয়ে তাদের প্রথম পাঠ নেয়। পাখির কলকাকলিতে মিশে সুমিষ্ট ধ্বনি, প্রকৃতির সমস্ত ঘটনাই প্রবাহিত হয় একটা নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে যা সুরেরই এক বিহ্বল রূপ। বিসমিল্লাহ খাঁর একটা অসাধারণ লেখা পড়েছিলাম “Who says music is prohibited in Islam.” শিরোনামে। এই উপমহাদেশে যদি বিখ্যাত সুরসাধকদের নাম নিতে হয় তাহলে আগে আসবে মুসলমানদের নাম। যারা বলছে যে গান-বাজনা করার সময় নারীর বিভিন্ন ভঙ্গি পুরুষকে প্রলুব্ধ করে তাকে অশ্লীল কাজের দিকে ধাবিত করে, তাদের বলবো সেটা সঙ্গীতের দোষ নয়, দোষ ঐসব পুরুষের ভগ্ন পুরুষত্বের। ইসলাম আগে বলেছে পুরুষের পর্দা করতে(চোখের) সেটা তারা আগে মেনে দেখাক। তাহলে সর্বসাকুল্যে এই অর্থ দাঁড়ায় যে হামদ-নাত করা যাবে, কোরআন সুমিষ্ট স্বরে তেলোয়াত করা যাবে কিন্তু নারী-পুরুষের চিরায়ত শাশ্বত সম্পর্ক নিয়ে কোন গান-বাজনা করা যাবে না অথচ নারী এবং পুরুষ পরস্পর পরস্পরকে ছাড়া অচল। পৃথিবীর সমস্ত বস্তু জগতের দিকে যদি তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে পরস্পর বিপরীতধর্মী এই আকর্ষণে টিকে আছে জগত, তাই বলে এ কথাও বলা যাবে না, যে গানের কথার মধ্যে অশ্লীল কোন ম্যাসেজ থাকে তার বাজে প্রভাব সমাজে পড়ে না।
ওহ একটা কথা তো মনে পড়ে গেল: নারীর কণ্ঠ/ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শুনে/দেখে পুরুষের শরীরে উদ্দীপনার জোগান হয় তাই যেনা বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এটা অধিকাংশ আলেমের ধারণা সেজন্য নারীর কণ্ঠ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কে পুরুষের দৃষ্টিসীমা বা কর্ণকুহরের বাইরে রাখতে হবে,ওকে ফাইন- থাকলো নারীর জন্য সবকিছু নিষিদ্ধ এখন যদি উল্টোটা হয় অর্থাৎ পুরুষের কণ্ঠে সুমধুর হামদ-নাত শুনে যদি নারীর শরীর শিহরিত হয়ে উদ্দীপ্ত হয় তখন কী পুরুষের জন্য ও কণ্ঠ শোনানো নিষিদ্ধ হয়ে যাবে? প্রশ্ন রেখে গেলাম।
কোরআনে জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কিত যে আয়াতগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কখনো কোন আলেমকে কী কিছু বলতে শুনেছেন? আমি অন্তত শুনিনি কখনো সেটা আমার শুনতে না পারার ব্যর্থতাও হতে পারে অবশ্য কিন্তু এরা আসলেই বিজ্ঞানের কতটুকু জানে সেটাও ভাবনার বিষয় বৈকি। অধিকাংশ মাদ্রাসার এই তথাকথিত আলেমদের সার্টিফিকেট প্রাপ্তির যথাযথ প্রক্রিয়া বিতর্কিত। তাই কথার পিছনের কথাগুলোকে কখনোই মানতে চায় না। এরা সিনেমা হলের দেয়ালে সাঁটানো নগ্ন নারীদেহের পোস্টারের কারণে মিছিল করে না, করে ‘জান্নাতি’ নামক সিনেমা বন্ধের কিংবা আয়েশা নামের সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য নারী চরিত্রে নামের কারণে। এতে কি ইসলামের খেদমত হচ্ছে নাকি ইসলাম নামের সাথে অযৌক্তিক, অবমাননাকর কিছু শব্দ জড়িয়ে সারা দুনিয়াতে ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য যাচ্ছে? এসব ভাববার সময় এসেছে। অনেক ভালো মানুষের মাঝে কিছু মানুষের অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডে সমস্ত ভালো মানুষ সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। ইসলামে ধর্ম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে , বলা হয়েছে সবসময় মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে কিন্তু কে শুনবে এসব আর কারাই বা থামাবে এদের। ইদানীং ইসলাম অবমাননা আর মহানবী (সাঃ) কে কটূক্তি-এই ব্যাপারগুলো নিয়ে প্রায়শই নানা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে । বিভিন্ন রকম উস্কানি দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একদল তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই বা একদল হীনমন্যতায় ভোগা গোষ্ঠী তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য সশব্দে গর্জন করছে। এসবের অবসান হওয়া উচিত। আজকে যারা নারীর বিরুদ্ধে নানা অবমাননাকর শব্দ উচ্চারণ করছে প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ে না অথচ শরিয়ত সরকার সত্য কথা বলায় তাঁকে রিমাণ্ডে নিলো। সক্রেটিসের কথাই যেন প্রতিফলিত হচ্ছে ‘I to die, You to live,which of these two is better only God knows.’
পরিশেষে বলি শুনুন, আপাতত সঙ্গীত হারাম নাকি হালাল সেটি সেফ সাইডে রাখুন তার পরিবর্তে খুন, লুটপাট, ঘুষ,দুর্নীতি,অবৈধ আয়,মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, পথে – ঘাটে রাস্তায় নারী নির্যাতন/নিগ্রহ, অবৈধ দখলদারিত্ব, মাস্তান, আইন অমান্যকরণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তাতে করে আমার, আপনার সন্তান সুস্থ, সুন্দর একটা ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবীতে বেড়ে উঠবে আর আমরা জাতি হিসাবে আরো অধিক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবো। যে দেশে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক সে দেশে কেন এত অপরাধী আর ধর্ষকের জন্ম হয় তা কি আমরা ভেবে দেখেছি? আসুন সবাই মিলে শরীয়ত সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করি তিনি অন্যায় কিছু বলেননি শুধু ভণ্ডামির বিরুদ্ধে যৌক্তিক চ্যালেঞ্জের তীর ছুঁড়েছেন কিন্তু আমরা এত দৈন্য যে তীরটাকে মনে করছি মরণফাঁদ।
লিপি নাসরিন
লেখক, অধ্যাপক।
ঢাকা, বাংলাদেশ।