প্রশান্তিকা ডেস্ক: এবার বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত বাংলাদেশ নাকি আন্তর্জাতিক সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সাকিবের ভুলের কারনে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার সাকিব নিষিদ্ধ হলেও তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাকিবের বিষয়ে প্রথমেই বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিসিবি সাকিবের পাশে আছে এবং সব রকমের সহযোগিতা দেবে। এই ধরনের ক্রিকেটারদের সঙ্গে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করে। ওর (সাকিবের) যেটা উচিত ছিল, যখনই ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, ও খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। ফলে সে আইসিসিকে বিষয়টি জানায়নি। নিয়মটা হচ্ছে, ওর সঙ্গে সঙ্গে জানানো উচিত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে সে একটা ভুল করেছে। এক্ষেত্রে আপনারা জানেন, আইসিসি যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, এখানে আমাদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকে না। তবু আমরা বলব, বিশ্ব ক্রিকেটে তার একটা অবস্থান আছে। একটা ভুল সে করেছে এবং সেটা সে বুঝতেও পেরেছে। এখানে খুব বেশি কিছু করার নেই আমাদের।”
গতকাল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, খুব শিগগির সাকিবের বিষয়ে ধারনা পাওয়া যাবে। আর তারপরই বাংলাদেশ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি দৈনিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে জুয়াড়িদের কাছ থেকে সাকিব প্রস্তাব পেয়েছিলো। কিন্তু তিনি ঘটনাটি চেপে রাখেন কিন্তু আইসিসি বা বিসিবিকে জানাননি।
রিপোর্টে বলা হয়, সাকিবের বিরুদ্ধে জুয়ারীদের প্রস্তাব গোপনের অভিযোগের সত্যতা পেলে সাকিবকে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পত্রিকার খবরটি কোনো অথেনটিক রিপোর্ট নয়, তবে কোনো ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত আসে বা না আসে, যেটাই হোক আমরা অবশ্যই সাকিবের পাশে থাকব। এটা থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটা আমরা চেষ্টা করব। এটা কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা যায় সেটা দেখছি।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “এটি নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এটি তদন্ত করছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডকে এখনো কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারত সফরের জন্য সাকিবকে অধিনায়ক রেখেই টি টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে। গত রবি ও সোমবার ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে দুই দলে ভাগ হয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও সাকিব একটিও খেলেননি।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে নেতৃত্বে দেওয়ায় সাকিবকে ফাঁসানো হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। কারন এক সংবাদ সম্মেলনে স্বয়ং বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জুয়াড়িদের সাথে বিশেষ ক্রিকেটারের সাথে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেন। প্রতিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটার সাথে ওটার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি (জুয়াড়ির প্রস্তাব) অনেক দিন ধরেই নাকি চলছিল। আমাদের খেলোয়াড়রাই বিষয়টি অবগত করেননি, এটা আমাকে ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাকিবের এই বিষয়টির কারণে দল ঘোষণাও একটু পিছিয়ে গেছে। সাকিব থাকলে এক রকম হবে না থাকলে আরেক রকম হবে। এই কারণে সিদ্ধান্তহীনতা আছে। এটার দ্রুত সমাধান না হলে ইন্ডিয়া ট্যুর নিয়ে সবার মধ্যে সংশয় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয় এটা খুব দ্রুত কেটে যাবে।”