প্রশান্তিকা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ এডভোকেট সাহারা খাতুন আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি কিডনি ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাহারা খাতুন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরপর তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে পরপর তিনবার নির্বাচিত হন। সাহারা খাতুন ১৯৪৩ সালের ১ লা মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
সাহারা খাতুনের মৃতদেহ ব্যাংকক থেকে কবে দেশে আনা হবে সে ব্যাপারে আজ শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’ প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
নির্মোহ রাজনীতিক সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো শোক প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে সভাপতি সিরাজুল হক এক শোক বার্তায় বলেন, সাহারা খাতুন ছিলেন নিবেদিত রাজনৈতিক নেতা।পুরো জীবন ব্যাপী তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। তিনি যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি সিডনিতে এসেছিলেন। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা জানাই। আমি নিজে আইনজীবী হিসেবে ১৯৮৬ সালে যখন ঢাকা বারে জয়েন করি তখনই তাকে কাছে পেয়েছিলাম। তিনি সারাজীবন সাদামাটা ও নিরহংকার জীবন যাপন করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ সত্যিকারের এক রাজনীতিবীদ ও দেশপ্রেমিক হারালো। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি গাউসুল আলম শাহজাদা এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ প্রেরিত এক শোক বার্তায় বলা হয়, “সাহারা খাতুন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।”