সিডনিতে উম্মোচিত হলো দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক: একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গতকাল সিডনিতে উম্মোচিত হলো দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ। ক্যান্টারব্যুরি- ব্যাংক্সটাউন কাউন্সিলের উদ্যোগে বাংলাদেশী অধ্যুসিত লাকেম্বার পার্শ্ববর্তী সাবার্ব বেলমোরের পিল পার্কে স্থাপিত এই স্মৃতিসৌধটি উম্মোচন করেন ফেডারেল এমপি টনি বার্ক। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মেয়র খাল আসফার, বাংলাদেশ হাই কমিশনের সিডনি কনস্যুলেট খন্দকার মাসুদুল আলম। মেয়র খাল আসফার বলেন, যাদের ঐকান্তিক সহায়তায় এটি সম্ভব হয়েছে তারা হলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, মুনীর হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম, শাহে জামান টিটু, লিঙ্কন শফিকউল্লাহ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন শেষে পুস্পস্তবক অর্পন করেন ফেডারেল এমপি টনি বার্ক।

পিল পার্কের নতুন এ মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধটির নকশায় একজন মা ও ডানে–বাঁয়ে তাঁর দুই সন্তানকে আগলে রেখেছেন এবং ওপরে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা সাদৃশ্য প্রতীক রয়েছে। ম্যুরালটির পেঁছনে রয়েছে পাঁচটি ভাষায় লেখা একটি বিবৃতি। সেটি হলো: মাতৃভাষা আমাদের স্বত্বার অংশ। মায়ের ভাষাকে নিজে ধারন করুন এবং আপনার সন্তানদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে লেখায়, পড়ায় এবং বলায় এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

স্মৃতিসৌধটির সামনে ও পেঁছনের নকশা।

এ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ডলার। বছর দেড়েক আগে স্থানীয় প্রবাসীদের উদ্যোগে একটি গালা ডিনারে বাংলাদেশিরা প্রায় ৪৩ হাজার ডলার সংগ্রহ করে কাউন্সিল তহবিলে দিয়েছে। সেই হিসেবে এই ম্যুরালটির সঙ্গে বাঙালি কমিউনিটির ওতপ্রোত অবদান রয়েছে। গতকালের সীমিত অনুষ্ঠানে নেতারা বলেন, আগামী বছর থেকে এখানেই একুশের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়নের টীম লিডার কাউন্সিল মোহাম্মদ নাজমুল হুদার সঙ্গে উপস্থিত টীমমেম্বারেরা।

এর আগে ২০০৬ সালে সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। সেই থেকে সেখানেই প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা এবং একুশের অনুষ্ঠান হয়ে আসছিলো। অবশ্য এ বছর কোভিডের কারণে কোন আনুষ্ঠানিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments