প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনিতে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ওয়েভে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু’জন হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর- তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এর আগে প্রথম ওয়েভে বৃহত্তর সিডনিতে কোন বাংলাদেশির আক্রান্ত হওয়ার তেমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে দ্বিতীয় ওয়েভে বাংলাদেশ থেকে আসা একজনের করোনা ধরা পড়েছিলো। তিনি উলওয়ার্থসে কাজ করতেন।
গতকাল রোববার সিডনির করোনাক্রান্ত বিশেষ এলাকা গ্রীন একরের এক প্রবাসীর ( আনুমানিক বয়স ৪৬) করোনা জটিল হয়ে পড়লে তাকে লিভারপুল হাসপাতালে নেয়া হয়। অত:পর তাকে দূরবর্তী অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সিডনিবাসী বন্ধু প্রশান্তিকাকে তাঁর শ্বাস প্রশ্বাসের একটি অডিও ক্লিপ পাঠায়। ক্লিপে তিনি খুব কষ্ট করে দম নিচ্ছিলেন এবং তাঁর জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন- এই করোনা সত্যিই দু:সহ, একে অবহেলা করবেন না, সতর্ক থাকুন। জানা গেছে, লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। শুধু একদিন বাড়ির ময়লার বিন চেন্জের জন্য রাস্তায় গিয়েছিলেন এবং তাঁর প্রতিবেশির সাথে কথা বলেছিলেন। সেসময়ে তাঁর মাস্ক পরা ছিলো না। তাঁর স্ত্রীও গতকাল থেকে জ্বরে ভূগছেন। তিনি বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্য আরেক সূত্রে জানা গেছে, রোজল্যান্ড নিবাসী পঞ্চাশোর্ধ আরেক প্রবাসী ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিলো। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়।
ব্যাংক্সটাউন, ইয়াগুনাসহ সিডনির আরও বেশ ক’টি এলাকায় প্রবাসীরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সিডনির কমিউনিটি নেতারা সবাইকে কোভিডের বিধিনিষেধ তথা লকডাউন পালন করতে অনুরোধ করেছেন। শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য গ্রোসারি শপ কিংবা মেডিকেল কারণে মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া, ঘন ঘন হ্যান্ড সেনিটাইজ করা এবং অন্য মানুষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।