প্রশান্তিকা রিপোর্ট: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ড. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ সকালে সিডনির অদূরে ব্যাথার্স্টে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজেউন)। তিনি ব্যাথার্স্টে অবস্থিত চার্লস স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রীও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বড় মেয়ের বয়স ১১ এবং ছোটটির বয়স ১০। তারা ব্যাথার্স্টের একটি স্থানীয় স্কুলে ৬ষ্ঠ এবং ৫ম শ্রেণীতে পড়ছে।

সিডনিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে খালেদা কায়সার মিনি ড. মোজাম্মেলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সিডনির মাউন্ট ড্রুইট ও পেনরিথের নিকটবর্তী ২৩০/২৬০ ওয়েস্টার্ন রোডে অবস্থিত ক্যাথলিক গার্ডেন সেমেট্রি, কেমস্ক্রিকে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর তাঁকে সেখানেই সমাহিত করা হবে। জানাযা এবং দাফনে অংশগ্রহণ ইচ্ছুকদের মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মোজাম্মেল প্রায় ৫ বছর আগে পিএইচডি করার উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়া আসেন। সম্প্রতি তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন হয়। তিন বছর আগে তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সেটা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার আধুনিক সকল চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। অবশেষে তিনি বাসাতেই আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায়।

জানা গেছে, পিএইচডি করার উদ্দেশেই তিনি পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। তার সহপাঠি ও বন্ধুরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।