প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনিতে মহিলাদের একটি জনপ্রিয় সংগঠনের নাম ফাগুন হাওয়া। ২০১৫ সালে এর পথচলা শুরু তবে গত বছর জাঁকজমক একটি বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বসন্তের রঙে রঙে মেতে উঠুক ফাগুন হাওয়া’ শীর্ষক একটি বৃহৎ বসন্ত মেলা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। ফাগুন নিয়ে সিডনিতে বড় পরিসরের আয়োজন এই প্রথম। মেলার মতো বৃহৎ এই আয়োজনের সাথে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রাল বিল্ট। মেলা উপলক্ষে সংগঠনটি গত ৪ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় রকডেলের ওল্ড স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

সাংবাদিক সম্মেলনে ফাগুন হাওয়ার পক্ষে তিশা তানিয়া, নাসরিন পলি, পপি কবির, সাজিদা আক্তার, ও মুনা মোস্তফা মেলা বিষয়ক তথ্যাদি প্রদান করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট তিশা তানিয়া বলেন, “গত বছরে আমরা মিন্টোর রনমুর হলে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ আয়োজন করি। হলটিতে ৮০০ টিকেট বিক্রি হয় এবং পুরোটা ভরে যায়। সেসময় ফাগুন হাওয়া অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা সেই অনুষ্ঠান সম্পর্কে অনেক পজিটিভ সাড়া পেয়েছি। মেয়েদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠনটি তাই বড় পরিসরে মেলাতে রূপ পাচ্ছে। সেই মেলায় থাকবে হরেক রঙের ফুলের সমারোহ। থাকবে আল্পনা। ঢাকার চারুকলার উৎসবে যে আমেজ ও আবহ থাকে আমরা সেরকমই করতে চাচ্ছি সিডনির ফাগুন হাওয়ায়। এখানেও সবাই চারুকলার স্বাদ পাবেন। তিনি আরও বলেন, রমনীরা আসবে হলুদ শাড়ী পড়ে, খোপায় ফুল গুজে। থাকছে নাচ গান কবিতা , ফ্যাশন সো, ডিজে সহ বাংলাদেশ থেকে আসছেন জনপ্রি়য় দুই শিল্পী। থাকছে ফেস পেইন্টিং, বেলুন টুইস্টিং, ক্লাউন ফর কিডস সহ আরো অনেক আকর্ষণীয় আয়োজন। মেলাতে ঢুকতে কোন প্রবেশ মূল্য থাকবে না। খাবারের এবং বিভিন্ন পণ্যের স্টল থাকবে।আরও থাকবে দুটো ফটো বুথ এবং সেলফি ফ্রেম।

ফাগুন হাওয়া সম্পূর্ণ মেয়েদের সংগঠন। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটো। তিনিও প্রেস কনফারেন্সে সংগঠনটিকে তাঁর এবং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আয়োজকেরা আশা করছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির এই ফাগুন মেলায় ওয়ালী পার্কে নারী পুরুষ, শিশু সহ সকল স্তরের বাঙালিদের ঢল নামবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা।