প্রশান্তিকা রিপোর্ট: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যতম দিশারী ড. মোখলেসুর রহমান আজ রোববার আরপিএ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো আনুমানিক ৮০ বছর। তিনি দুই সন্তান, অসংখ্য নাতি নাতনী রেখে গেছেন। আগামীকাল সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় লাকেম্বা মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মোখলেসুর রহমান ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ানদের সমর্থনের জন্য কাজ করে গেছেন এছাড়া মুক্তিযাদ্ধাদের সাহায্যের জন্য ওষুধ, কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অস্ট্রেলিয়া আসার পরপরই তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোন। পরবর্তীতে তিনি এই সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। সেসময় তিনি সিডনির ইস্টার্ন সাবার্ব পেইজউডে থাকতেন। সংগঠনের সমস্ত কার্যকলাপ তাঁর বাসাতেই হতো। তিনি অস্ট্রেলিয়া গভর্মেন্ট চাকুরী করতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। একই বিষয়ে পিএইচডি করতে তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ অয়েলস’র সঙ্গে যুক্ত হোন।
তাঁর মৃত্যুতে সিডনিতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠরা তাঁর নানা সামাজিক কার্যকলাপ ও বাংলাদেশী কমিউনিটিতে তাঁর অবদানের কথার স্মৃতিচারণ করেন। সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতা গামা আব্দুল কাদির প্রশান্তিকাকে জানান, “ আজ সিডনিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির যে সুনাম ও ব্যাপকতা রয়েছে তার সূত্রপাত হয়েছে ড. রহমানদের মতো পরপোকারীদের হাত দিয়ে। তিনি নিজের অর্থে তাঁর দেশের বাড়ি বগুড়ায় একটি এতিমখানা গড়ে তুলেছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর একাকী জীবন কাটিয়েছেন। অথচ এখনকার কত বাংলাদেশী সংগঠন তাঁর খবরও রাখেনি।”
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, “রহমান সাহেব অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ও নিবেদিত এক প্রাণ ছিলেন। সেসময় নতুন কোন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়া এলে তিনি সকল সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। মানুষের প্রতি তাঁর দরদ ছিলো অতুলনীয়।”