প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনির ক্যান্টারবুরি হাসপাতাল এ বছর স্থানীয় শিল্পীদের চিত্রকর্মের ওপর একটি প্রদর্শনী ‘মার্চ আর্টস’ আয়োজন করে। কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য সচেতনাতায় চিত্রকলার ভূমিকা শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে অস্ট্রেলিয়ার মেইনস্ট্রিম শিল্পীদের সাথে সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পী আসিফ শহীদ এবং জাকিয়া হোসেনের চিত্রকর্ম বিশেষভাবে স্থান লাভ করে।

অংশগ্রহণকারীদের মার্চ মাসে ক্যান্টারবুরি হাসপাতালের ফয়ারে বসে ছবি আঁকার কথা থাকলেও COVID-১৯ এর কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকল আর্টিস্টদের তাদের বাসা থেকে ছবি এঁকে জমা দেয়ার অনুরোধ করে। গত ২৬ শে আগস্ট বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি morning tea আয়োজনে মাধ্যমে সকল ছবি উদ্বোধন করে। পুরো আয়োজনটি সমন্বয় করেছেন হাসপাতালের কমিউনিটি পার্টিসিপেশন ও ভল্যানটিয়ার ম্যানেজার সুজান বেকার ( Suzanne Baker)। আসিফ ও জাকিয়া ছাড়াও এতে অংশ নেন Noeline Holten, Toni Bensemann and Farzana Ahmad।
মার্চ আর্টসে আসিফের ছবির বিষয় ছিলো ‘পহেলা বৈশাখ।’ প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে সিডনির বাংলাদেশী অধ্যুসিত লাকেম্বায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে প্রবাস প্রজন্ম তাদের বাঙালী সংস্কৃতি ও শেকরের স্বাদ লাভ করে। ক্যান্টারবুরি হাসপাতালে আসিফের আঁকা পহেলা বৈশাখ ছবিটি আমাদের বাঙালী পরিচয় বহন করছে।

বাংলাদেশী শিল্পী জাকিয়া হোসেন চিত্রশিল্পী এবং আলোকচিত্রী। তিনিও বসবাস করছেন সিডনিতে। তিনি প্রকৃতির সহজাত পরিবেশ খুব ভালোবাসেন। তিনি মনে করেন প্রকৃতির সাথে বাস করলে মানবজীবনও সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং দীর্ঘজীবী হয়। তাঁর ছবিতে প্রকৃতি প্রেম সহজেই ধরা পড়ে।

প্রদর্শনীতে আয়োজক এবং দর্শকেরা আসিফ শহীদ ও জাকিয়া হোসেনের পেইন্টিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মার্চ আর্টস’র পরেও শিল্পীদের ছবি হাসপাতাল ভবনে স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হবে। দর্শনার্থীরা যে কোন সময় প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া সকল শিল্পীর চিত্রকর্ম দেখতে পারবেন।
শিল্পী আসিফ শহীদ ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে আগত। তিনিও বাস করছেন সিডনিতে। তিনি ডিজাইনার এবং ওয়াটার কালারে সিদ্ধহস্ত। ল্যান্ডসকেপ এবং স্ট্রিট সিন তাঁর পেইন্টিংয়ের আগ্রহের বিষয়। তিনি বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ‘বৈশাখী’র লোগো নির্মাণ করেছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়া গতবছর সিডনিতে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সম্মেলনে বাংলাদেশের স্যুভেনিউ হিসেবে দেশ ও বিদেশের সম্মানিত অতিথিদের তাঁর আঁকা পেইন্টিং উপহার দেয়া হয়।