প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়াবাসী বৈশাখী মেলার এই আয়োজনকে জানতেন টেম্পি বৈশাখী মেলা হিসেবে। অজস্র মানুষের স্থান সংকুলান ও পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় গত বছর থেকে মেলাটি ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত হয়েছে। এখন থেকে মেলাটিকে আমরা ফেয়ারফিল্ড বৈশাখী মেলা বলতে পারি, আয়োজক বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক ও মেলা কমিটির আহবায়ক গাউসুল আলম শাহজাদা এরকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পহেলা বৈশাখের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ৬ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা উদযাপিত হবে। প্রবাসের বাঙ্গালীদের নতুন বছরের আমেজ দেয়ার জন্য নববর্ষের কাছাকাছি ছুটির দিন শনিবার এই মেলা আয়োজিত হচ্ছে বলে গাউসুল আলম শাহজাদা জানান।
সম্প্রতি রকডেলের পালকি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি, অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ফেয়ারফিল্ড বৈশাখী মেলায় গান শোনাতে আসছেন বাংলাদেশের দুই জনপ্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ও হাবিব ওয়াহিদ। সংগঠনের সভাপতি ড. মাসুদুল হক মেলার ইতিহাস ও মেলার বিভিন্ন দিক, সুবিধা, অসুবিধা এবং নতুন সংযোজন বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন ভেন্যুতে গত বছর প্রথম আয়োজনই বিশাল সাফল্য অর্জন করে। সেই ধারাবাহিকতায় মেলাটি এবারও সফল হবে এবং উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করবে।
ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ড অনেক বড় হওয়ায় এক সঙ্গে হাজার হাজার লোক একত্রিত হয়ে ভেন্যু মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। এই মেলার একটি বড় সুবিধা হলো দর্শনার্থীরা মেলার যে কোন প্রান্তে থাকলেও মঞ্চের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। মেলায় থাকছে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার ও বিপণন সামগ্রীর ষ্টল। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন রাইডস। সাটল বাস সার্বক্ষণিক ভাবে রেলওয়ে স্টেশন থেকে মেলা ভেনুতে যাত্রী পরিবনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। হাবিব ওয়াহিদ ও তার বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদের মতো জনপ্রিয় শিল্পীর মন মাতানো গান দর্শকদের বাড়তি পাওনা। গত বছরের মতো এবারেও থাকছে বর্ণিল আলোকসজ্জা ও ফায়ার ওয়ার্কস। অস্ট্রাল বিল্ডার্স মেলায় টাইটেল স্পনসর করেছে। মেলায় প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ১০ ডলার প্রবেশমুল্য ধার্য করা হয়েছে। অনূর্ধ পাঁচ বছরের শিশুদের কোন প্রবেশমূল্য লাগবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।