প্রশান্তিকা রিপোর্ট: যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে ফ্যাশনে এসেছে বৈচিত্র্য ,নতুনত্ব এবং আভিজত্য। যদিও এক সময়ে আমাদের সমাজে ফ্যাশন ও মডেলিংকে অন্য চোখে দেখা হতো। এখন আর তা নেই। এখন ফ্যাশন সাধারন মানুষের মধ্যেই ছড়িয়েছে।কারণ ফ্যাশন ও মডেলিং মেকাররা মেধা এবং শ্রম ব্যয় করে একটি শিল্প হিসাবে সমাজের কাছে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশেও অনেক আগে এর বিপ্লব ঘটেছে। ফ্যাশন শো’র মাধ্যমে ফ্যাশনকে ক্রমান্বয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মডেলিং প্রতিষ্ঠান ও মডেল তারকারা ।এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফ্যাশন এবং মডেল কি? ফ্যাশন হচ্ছে জাতি, ধর্ম-বর্ণ, স্থান ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিধেয় বস্ত্রাদির চমৎকার ব্যবহার। আর যে সমস্ত নারী-পুরুষ তাদের লালিত মাখা পদচারণা ও শৈল্পিক দেহভঙ্গি যা বিশেষভাবে সুর ও ছন্দের তালে ক্যাটওয়াক এর মাধ্যমে তাদের দেহের পরিধেয় বস্ত্র সরঞ্জামাদি ফুটিয়ে তোলে এবং সুনিপুণ ব্যবহার সম্পর্কে দর্শকদের মনে বিশেষ ছাপ ফেলেন তারাই মডেল। বর্তমান যুগ শুধু বিজ্ঞানের যুগ নয় বিজ্ঞাপনেরও যুগ। বিজ্ঞাপন হচ্ছে আজকের দুনিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রবাহমান শিরার মতো। কাজেই যে কোন অর্থেই বিজ্ঞাপন একটি শিল্প এবং পণ্য বেচা-কেনার একমাত্র শৈল্পিক মাধ্যম। আর বিজ্ঞাপনকে যদি বাণিজ্যের প্রসাধন বলা যায় তাহলে ফ্যাশন শোকে বলা যায় বিজ্ঞাপনের সর্বশেষ সচল পদ্ধতি।
সিডনির ফ্যাশন গ্রুপটির নাম ‘দ্য লুক’। এটি এই প্রজন্মের বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের একটি সম্মিলিত প্রয়াস। দ্য লুক ইতোমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশে এমন একটি ফ্যাশন দল গড়ে তোলা অতোটা সহজ ছিলোনা। কোরিওগ্রাফার সালমিন তানহা নিরলস পরিশ্রম করে অসম্ভব কে সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছেন। দ্য লুক বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন মেলা গুলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফরম করে যাচ্ছে এবং বেশ সুনামও অর্জন করেছে। বিশেষ করে গত বছরের ব্যাংকসটাউনে ব্রান্ডিং বাংলাদেশ আয়োজিত মেলাতে তাদের চমকপ্রদ ও জমকালো শো’র ফলে তানহাদের আর পেঁছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
কোরিওগ্রাফার সালমিন তানহা
দ্য লুক এর কোরিওগ্রাফার সালমিন তানহা প্রশান্তিকাকে বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এর যাত্রা শুরু হয় ডারলিং হারবারে একটি শো’র ভেতর দিয়ে। তানহা নিজে একজন মডেল এমন কি তিনি বেশ কিছু নাটক ও মিউজিক ভিডিও করেছেন। সুতরাং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা যেমন আছে, তেমনি মঞ্চের অভিজ্ঞতাও কম নয়।
দ্য লুক এর প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন ওয়াজিহা শারমিন। তানহা বলেন, সিডনির মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রহমত উল্লাহ এবং তার উপদেষ্টা রাজিবের কল্যানে ডারলিং হারবারের শো’টি বেশ সফল হয়েছিলো। এ পর্যন্ত দ্য লুক ৬ টি শো করেছে এবং প্রতিটা শো বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী ব্যাংকসটাউনে পল কেটিং পার্কের ভালোবাসার মেলা সহ বৈশাখী মেলা, ফাল্গুন উৎসবেও শো করতে যাচ্ছে দ্য লুক। সালমিন তানহা বলেন এসব শো’র জন্য তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রত্যেক শোতে প্রধান উপজীব্য বিষয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে অবলম্বন করে অস্ট্রেলিয়া বা পাশ্চাত্য ধারাকে ব্লেন্ড করতে চাই আমরা। তাদের প্রত্যেক শো যেহেতু বাংলাদেশি কালচারের আদলে উপস্থাপন করা হয় সেহেতু বাংলাদেশি দর্শকরা তাদের শো গুলো তে সমবেত বা মুগ্ধ ভাবে উপভোগ করবেন সে আশা করতেই পারেন। প্রশান্তিকা দ্য লুকের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছে।