প্রশান্তিকা ডেস্ক: সিডনিতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। উত্তরাঞ্চলীয় সাবার্ব এলাকা ছাড়াও বাংলাদেশী অধ্যুসিত লাকেম্বার কাছাকাছি ক্রয়ডন, ব্যাংক্সটাউন, আর্লউড এবং গ্রীন একর এলাকায় আজ নতুন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, ক্রয়ডন এলাকায় ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাইরাসের রকমভেদ এখনও জানাতে পারেনি। নিউ সাউথ ওয়েলস’র চীফ হেল্থ অফিসার ডা. কেরী চান্ট বলেন, এটি কি নর্দার্ন বীচেচ এলাকার গোত্রীয় নাকি অন্য ধরনের শিগগির জানা যাবে, তবে এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে তিনি আশংকা করেছেন।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক্সটাউন স্পোর্টস ক্লাবে গতকাল ভিজিট করা দুইজন এবং আর্লউড আরএসএল ক্লাবে একজনের পজিটিভ নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া গ্রীনএকর বানিংসেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে যা ক্রয়ডন, ব্যাংক্সটাউন, আর্লউড এবং গ্রীনএকর এলাকার। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সিডনিতে মোট ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা ও কাউন্সিলররা সবাইকে সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করতে বলেছেন। ক্যান্টারব্যুরি- ব্যাংক্সটাউনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রশান্তিকাকে বলেন, “ করোনা যেভাবে ছড়াচ্ছে সেই তুলনায় লাকেম্বা বা অন্য বাংলাদেশী অধ্যুসিত এলাকার পাবলিক প্লেস, দোকান এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে নিয়ম কানুন সেভাবে মানা হচ্ছে না। এতে করে সমুহ বিপদের আশংকা রয়েছে।” তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে সরেজমিনে দেখা গেছে , সামাজিক দূরত্ব ১.৫ মিটার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। তাছাড়া অনেক অনুষ্ঠান আয়োজক এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অনুষ্ঠান করছেন। সেখানেও কতটুকু নিয়ম মানা হচ্ছে?” । তিনি কমিউনিটির সবাইকে যথাসম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং এই সময় প্রয়োজনের অধিক অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। নইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছুতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
করোনার এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার আরও কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে। আজ রাত ১২ টার পর থেকে বৃহত্তর সিডনি সাবার্ব এলাকায় শিশুসহ পাঁচজনের বেশি মানুষ অন্য বাসায় যেতে পারবে না। এছাড়া পাবলিক প্লেসে জনসমাগম ৫০ থেকে কমিয়ে ৩০ জন করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে কঠিন জরিমানা করা হবে বলে প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিন জানান।