আরিফুর রহমান: সিডনির লাকেম্বাকে আমরা বলি ছোট্ট একটি বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান থাকবে না তা কি করে হয়?

আর সেই প্রেরণায় গ্রামীণ রেস্টুরেন্ট এবার তাদের নতুন একটি রেস্টুরেন্টের দেয়ালে অংকিত করছে আমাদের সেরা টাইগার সাকিব আল হাসানের পোর্ট্রেট। গ্রামীণের ব্যবস্থাপনায় লাকেম্বার রেলওয়ে প্যারেড রোডে নতুন রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে ‘গ্রামীণ চাপ ও কাবাব’। খুব অল্প দিনের মধ্যেই রেস্টুরেন্টটি চালু হবে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও প্রাণ পুরুষ হুমায়ূন আহমেদের ছবি দেয়াল জুড়ে আঁকিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে গ্রামীণ রেস্টুরেন্ট। একই রেস্টুরেন্টের নীচ তলায় তারা আবহমান বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি সিনেমা সুজন সখির পোস্টার অংকিত করে। উপর তলার হুমায়ূন আহমেদ দেয়াল ঘিরে স্থানটিকে সিডনি বাসী ভালোবেসে হুমায়ূন চত্বর নামকরণ করেছে। এখন সেখানে নিয়মিত কফি হাউজের স্টাইলে সাহিত্য আড্ডা, কবিতা পাঠের আসর বসছে।সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের অনুজ ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার সস্ত্রীক সিডনি সফরে এসে গ্রামীণে বড়ভাইয়ের পোট্রেট দেখে আনন্দে বিস্মিত হন।
গ্রামীণ রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের শিল্পানুরাগের ধারাবাহিকতায় এবার প্রবাসের বাঙালিদের চমক দিতে যাচ্ছেন বিশ্ব নন্দিত অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পোর্ট্রেট দিয়ে।
সাকিবের এই ছবির বিষয়ে গ্রামীণের কর্ণধার আশরাফুল ইসলাম প্রশান্তিকাকে বলেন, “দেয়াল জুড়ে বাংলাদেশের কীর্তিমান মানুষের ছবির মাধ্যমে আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতির প্রচলন এখানেও অব্যাহত থাকুক।এর মাধ্যমে আমাদের প্রজন্ম থেকে শুরু করে আগামী প্রজন্মও জানুক আমাদের ভালোবাসার মানুষ গুলোকে।” তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান আমাদের দেশের লিজেন্ড। অতএব বিশ্বের সবজায়গায় ওনারাই আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও পরিচয় তুলে ধরবে।
পোর্ট্রেটটি সিডনিতে বসাবাসরত ঢাকা চারুকলা ও শান্তি নিকেতনে অধ্যায়ন করা মেধাবী আর্টিস্ট শান্তুনু বিশ্বাস তাঁর তুলির আঁচরে ফুটিয়ে তুলছেন। প্রশান্তিকার সাথে তাঁর অভিজ্ঞতায় বলেন, “সাকিবের এই ছবিটি আঁকতে যেয়ে আমি এই তরুণের ভালোবাসায় আপ্লুত হচ্ছি এবং আমার বিশ্বাস প্রত্যেক প্রবাসী বাঙ্গালী একই ভাবে সাকিবকে অনুভব করবে এবং দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হবে।”
সিডনিতে গ্রামীণ বরাবর আমাদের বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দেয়।২১শে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনার বানিয়ে পুস্পস্তবক দেওয়ার সুযোগ, স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসে অস্থায়ী স্মৃতি সৌধ নির্মান করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে স্মরণ, পহেলা বৈশাখে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঐতিহ্য পালন করে আসছে।