প্রশান্তিকা ডেস্ক: সিডনি থেকে সমুদ্র ধরে দক্ষিণ দিকে উপকুলীয় (সাউথ কোস্ট) এলাকাগুলোর অধিকাংশ হলিডে বা অবকাশ যাপনের জন্য প্রসিদ্ধ। তারমধ্যে প্রধান একটি হলিডে স্থানের নাম বেটম্যান্স বে। আর এখানেই রয়েছে একটি খোলা চিড়িয়াখানা যার নাম ‘মোগো’। অন্যদিকে সমুদ্র থেকে অদূরে বেগা ভ্যালির বিখ্যাত চিজ কারখানা ‘বেগা চিজ’ খামার সহ রয়েছে খামারীদের বসবাস। গতকালের ভয়াবহ দাবানলে বেটম্যান্স বে, মোগো চিড়িয়াখানা এবং বেগার ঐতিহ্যবাহী একটি গীর্জা আগুনে বিধ্বস্ত হয়েছে। একমাত্র গতকালের দাবানলে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দাবানলে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২ তে দাঁড়ালো। এছাড়া পুড়ে মারা গেছে হাজার হাজার বন্যপ্রাণী।

রুরাল ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বেটম্যান্স বে’তে হাজার হাজার মানুষ হলিডে তে গিয়ে আটকা পড়েছে। তারা দাবানলে আক্রান্ত বাড়িঘর, হোটেল ছেড়ে সমুদ্রের ধারে আশ্রয় নিয়েছে। আশপাশের সুপারমার্কেটে খাবারের স্টক সব শেষ হয়ে যায়। দাবানলের কারণে স্নোয়ি মাউন্টেন এলাকা এবং প্রিন্সেস হাইওয়ের অনেক যায়গায় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে আটকে পড়া টুরিস্টরা চাইলেও সেই এলাকাগুলো থেকে বের হতে পারছেনা। শোলহ্যাভেনের মেয়র সাউথ কোস্টে হলিডে যাওয়া বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন।

টুরিস্টরা বেটম্যান্স বে, আলাডালা সহ আশেপাশের এলাকা থেকে মোগো চিড়িয়াখানায় যায়। সেখানে গতকালের ভয়াবহ আগুনে পুরো চিড়িয়াখানা হুমকির সম্মুখীন হলে দমকল কর্মীরা অন্য স্থানে আগুন নেভানো বাদ দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোগো চিড়িয়াখানায় শত শত প্রাণী আগুনের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। সেখানে রাখা জেব্রা, সিংহ, রাইনো, জিরাফ, বাঘ সহ প্রায় দু’শ প্রাণী অনিয়ন্ত্রিত দাবানল থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে চিড়িয়াখানাটির অধিকাংশ পুড়ে গেছে।

সমুদ্রের অদূরে অবস্থিত বেগা শহরটিও হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। গতকালের দাবানলে অসংখ্য ঘর বাড়ি ও সেখানকার শতবর্ষী একটি গীর্জা পুড়ে গেছে। সাউথ কোস্টের দুটি সরকারী স্কুল পুড়ে গেছে।
গতকালের দাবানলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় তিনমাস ধরে চলতে থাকা দাবানলে এ পর্যন্ত তিনজন দমকল কর্মীসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। গতকালের পরে তাপমাত্রা একটু কমেছে তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শনিবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে যা কোথাও কোথাও গতকালের চেয়েও ভয়াবহ আঁকার ধারন করবে।