প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিডনি প্রবাসী মোহাম্মাদ আক্তারুজ্জামান গত ৬ জুন শনিবার বিকেলে আরপিএ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে…রাজেউন)। আগামীকাল মঙ্গলবার লাকেম্বায় তাঁর জানাজা ও অন্যান্য কাজ হওয়ার কথা রয়েছে। এর জন্য কতৃপক্ষকে ফুনারেল খরচ হিসেবে সাড়ে ৮ হাজার ডলার দিতে হবে। কমিউনিটিতে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়ালে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে তাঁর বন্ধু আব্দুল গফুর জানান। আক্তারুজ্জামান মারা যাওয়ার আগে কোন কাজ করতেন না। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্ত্রী এবং চার ও আট বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে তিনি হাউজিং কমিশনের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। আব্দুল গফুর বলেন (মোবাইল 0451 440 120), একদিনের মধ্যে তাঁর ফুনারেল খরচের বাকী টাকাটা না পেলে মুশকিল। তিনি সবাইকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান।

তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৬ বছর। তাঁর স্ত্রী রাফিয়া আক্তার জানান, গত তিন মাস আগে হার্টের সমস্যা নিয়ে তিনি স্থানীয় ক্যান্টারব্যুরি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে আরপিএ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তারপর ২ জুন স্ট্র্যাথফিল্ড হাসপাতালে তাঁর হার্টে অপারেশন করা হয়। অপারেশনটি সফল না হওয়ায় আবার তাকে আরপিএ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই দ্বিতীয়বার অপারেশনের পর লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অভিবাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তারপর থেকেই তিনি সিডনি বাস করেছিলেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি একাউন্টিং জব, ইলেকশান কমিশনে চাকুরী সহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার লাকেম্বায় জানাজা শেষে সিডনির ক্যাম্পক্রিক সেমিট্রিতে দাফন করা হবে।তাঁর স্ত্রী সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন। নিচের একাউন্টে সহায়তা পাঠাতে পারেন:
রাফিয়া আক্তার
এএনজেড ব্যাংক,
বিএসবি ০১২২২৬
একাউন্ট ১৫০৫৩০১৪৬।