প্রশান্তিকা ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৮টা থেকে সাড়ে ৮ টার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার তরুণী (২০) পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন।

প্রথম আলো সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর স্বামী সিলেটের শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই ছয়জন হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। এর মধ্যে প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তরুণী তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। রোববার বেলা দেড়টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে উপস্থিত হয়ে তিনি ২২ ধারায় ঘটনার জবানবন্দি দেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে তাঁর জবানবন্দি দেওয়া শেষ হয়।
এ সময় ওই তরুণীর সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী উপস্থিত ছিলেন। সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুর রহমান এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা অর্জুন লস্করকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে (২৮) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারতে পালানোর সময় রোববার ভোর ছয়টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে (২৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর এমসি কলেজ ছাত্রাবাস থেকে পালিয়ে জকিগঞ্জে নিজের বাড়িতে যান অর্জুন। পরের দিন বিকেলে জকিগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তিনি জকিগঞ্জের বাড়িতে এক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে একাধিকার তাঁর যোগাযোগ করার তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাধবপুরের মনতলা এলাকায় পৌঁছায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনতলা গ্রামে অর্জুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।