প্রশান্তিকা ডেস্ক: দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ না ফেরার দেশে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজেউন)। যমুনা টিভি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতার পরে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গতকাল সন্ধ্যা সাতটার সময় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সংবাদপত্র মহল, লেখক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে নাসিফ মকসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবা বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁর মরদেহ জানাজা ও দাফনের জন্য ধোয়ানো শেষে হিমঘরে রাখা হয়েছে। ভারতে বেড়াতে যাওয়া তাঁর মেয়ে দেশে ফিরলে তাঁর দাফন এবং জানাজার তারিখ জানা যাবে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বিকেলবেলা, দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা; যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি; জার্মানির জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি প্রথম আলো সহ দেশের শীর্ষস্হানীয় পত্রপত্রিকায় অসংখ্য কলাম লিখেছেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও মা সালেহা বেগম।