[ বদরুজ্জামান আলমগীর: বাংলা প্যারাবল’র প্রবর্তক- এর উদ্দেশে ]
জোছনার কালো রোদে মেঘদূত
আচমকা চমকালো বিদ্যুৎ
পথঘাট চোখে রেখে সাইকেল
ছুটে যাক রেলগাড়ি হুইসেল
ফিটফাট ফুল হাসে গাছময়
সুবাসিত বাঁকা ঢেউ পার হয়
মহিশের শিং নেড়ে যায় দিন
রাতভর গাছগুলো সঙ্গিন
খেলতেছে কার হাতে ট্রাম্প কার্ড
ঘুম-ঘুম সবকিছু অ্যাবসার্ড
দাদখানি চাল নাই, নাই আর
মন খুলে হাসে ধুধু হাহাকার
বোরহানি খেয়ে নাচি খিলখিল
ফুলেদের পাপড়িতে কালো তিল
পাল তুলে রাজপথে যায় ট্রেন
কেঁপে ওঠে অজানা সে মেমব্রেন
পিচকারি দিয়ে ফুল ছুঁড়ে দাও
ছাঁদ-মাটি যত পারো ফুঁড়ে যাও
বানচোদ পুঁজিবাদী হুমকিতে
ঘোরে পাখি ঝমঝম চুমকিতে
কার্ল মার্কস, মাও সেতুঙ, এঙ্গেল
গায় শুনি পুঁজিবাদী জিঙ্গেল
বখতিয়ার খিলজির ঘোড়াটা
তিরতির ছুটে মুখপোড়াটা
মারো টান, টান মারো পুষ্পে
ফুলেদের আগুনে কে পুষবে
হাঁটবো না দৌড়াবো জানা নাই
লাশেদের ছবি তোলো মানা নাই
খুলে যাক ভূগোলের সিলসিলা
সীমানার কাঁটাচোখ হোক ঢিলা
বন্দুকে ফোটে ফুল ছারখার
আয় আয় দুই মুখী ডাক্তার
উপশম লেপে দাও সারা গায়
বালুময় খেলাঘর বোঝা যায়
মধ্যপ্রাচ্যটা ছারখার
শাক দিয়ে লাশগুলো ঢাকা তার
ডাক্তার বাবু লাশ কেটে কন
মানুষটা মেরেছে কে কখন
গৌতম বুদ্ধের নাম হোক
মানুষের গান, জয়গান হোক
হাত দিয়ে ধরো নিজ নফস
বাকসের বোকা কথা টক শো
আসলে তো সবকিছু ভনভন
পারো যদি খেয়ে আসো লটকন
দমকল বাহিনীকে কল করো
আগুনের ফুল দিয়ে ছল করো
সাগরের বুকে ফুল ভাসে কার
লাশগুলো হেসে হেসে ছারখার
সত্যটা দুই হাতে করো ভাঁজ
ফিরে আসে মনসুর হাল্লাজ
ধর্মের ঢাক মানে গ্যাঁড়াকল
বদরুজ্জামানের প্যারাবল
সত্যটা দুই হাতে করো ভাঁজ
ফিরে আসে মনসুর হাল্লাজ