প্রশান্তিকা ডেস্ক: বৈশাখী উৎসব বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। সুদূর বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে একটি বড় দ্বীপের নাম অস্ট্রেলিয়া যেখানে বাঙালিরা আসতে শুরু করে খুব কম পরিসরে, আশির দশকে খুব অল্প স্বল্প করে। নব্বইয়ের দশক থেকে ধীরে ধীরে বাঙালিদের লোকবল একটু একটু করে বাড়তে থাকে। এই অস্ট্রেলিয়াতে এখন বাঙালিদের উৎসবের কমতি নেই বললেই চলে। বছর কয়েক আগেও সিডনিতে হাতে গোনা কয়েকটি মেলা বা উৎসব হত। সারা বছর বাঙ্গালিরা অপেক্ষা করে থাকতো সেই উৎসবের দিনগুলোর জন্য।
সব উৎসবের মধ্যে বৈশাখী উৎসব যেন মহা উৎসবে পরিণত হয়েছে সিডনিতে। নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য সরকার অলিম্পিক পার্কের বৈশাখী মেলাকে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি চার বছরের মেয়াদে ১০০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। ২৩ মার্চ ছিলো অলিম্পিক পার্কের মেলা, ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডের বৈশাখী মেলা হবে ৬ই এপ্রিল। এবার ৭ই এপ্রিল হবে সিডনির ইঙ্গেলবার্নে বৈশাখী উৎসব। তারপর হবে ১৪ই এপ্রিল লাকেম্বায়র রেলওয়ে প্যারেডে।
ইঙ্গেলবার্নের বৈশাখী উৎসব সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম একটি উৎসব। ২০১৫ সাল থেকে সিডনি বাঙালি কমিউনিটির উদ্যোগে সম্পূর্ণরূপে বাঙালি সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিস্তার করার জন্য বৈশাখী উৎসব ছাড়াও বিজয় দিবস, আন্তৰ্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে।
এবার উৎসবে থাকছে বাংলাদেশের লোকসংগীতের প্রখ্যাত শিল্পী দিলরুবা খানের একক পরিবেশনা। এছাড়াও থাকছে সিডনির প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জুটি আতিক হেলাল ও আফরিনা মিতার গানের পরিবেশনা। সিডনির অন্যতম সেরা নাচের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনায় থাকছেন শিল্পী পূরবী পারমিতা বোস, স্মীতা বড়ূয়া এবং অর্পিতা সোম চৌধুরী ও তার দল।অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠা কিশোর কিশোরীদের সমন্বয়ে গঠিত চৌকষ দল কিশোর সংঘের পরিবেশনা।
দেশী খাবার দাবার , পিঠাপুলি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালিদের ফেলে আসা বাংলাদেশের বৈশাখী উৎসবের কিছুটা অনুভূতি ফিরে আনা এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা সংষ্কৃতিকে তুলে ধরাই এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। এই উৎসবে যোগ দিতে কোন প্রবেশ মূল্যের প্রয়োজন নেই বলে আয়োজকরা জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।